মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা স্যালুট জানাই মণিপুরের মানুষকে। বাংলা ও INDIA পক্ষ থেকে। বেটি বাঁচাও স্লোগান কোথায় গেল বিজেপি? আজ বেটি জ্বলছে। মণিপুরে, দেশে৷ বিলকিসের ওপর যারা অত্যাচার করেছিল, তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। বক্সারদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিলেন না। আর মণিপুরে এই অবস্থা। আগামীর ভোটে মহিলারা বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।”
তিনি বলেন, “বিজেপির প্ল্যান ফেক ভিডিও করবে। প্রধানমন্ত্রীর কথায় এটা পরিষ্কার। বাংলা, রাজস্থানের কথা বলেছেন মণিপুর নিয়ে বলতে গিয়ে। আমার একটাই বিনীত প্রশ্ন আপনার কাছে, আর কতদিন বেটি জ্বলবে, দলিত জ্বলবে। মণিপুর আমরা ছাড়ছি না। এখানে ১৫৪ কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছেন। গ্রেফতার করেছেন আমাদের লোককে। বিজেপির কথা বলছে, কেমন করে বাংলায় ৩৫৫ করা যায় তার পরিকল্পনা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীকে দলের তরফে বলছি, বিদেশে গিয়ে ভারতের জন্য কাঁদেন। আর দেশের মানুষ আপনার জন্য কাঁদছে।”
advertisement
আরও পড়ুন, কী ঘটেছিল ১৯৯৩-এর ২১শে জুলাই? ৩০ বছর আগের রক্তাক্ত সেই দিনের কথায় শিউরে উঠতে হয়
আরও পড়ুন, লক্ষ্য লোকসভা ভোট, উত্তরের জেলা ও জঙ্গলমহল টার্গেট তৃণমূলের
মমতা আরও বলেন, “সিপিএমের আমাকে নিয়ে অ্যালার্জি আছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আমলে কি ছিল? পঞ্চায়েত ভোটের দিন ১৫ জন মারা গেছে। আর তার আগে ১৪ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ১৮ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। তৃণমূল কংগ্রেস কি নিজেরাই নিজেদের মারবে?”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ পরপর পাঁচ বার আমরা প্রথম হয়েছি। ১০০ দিনের কাজ যা গরীব মানুষের জন্য তাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেছেন ২ অক্টোবর দিল্লতে ধরনা করব, প্রাপ্য না দিলে। আমাদের টাকা না দিলে, গান্ধীজীর জন্মদিনে আমরা সবাই দিল্লি যাব। রাস্তায় আটকালে যেখানে আটকাবে, সেখান থেকে দিল্লি যাব। ১০০ মিটার দূরে ব্লকে ব্লকে বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে। যাতে বলতে না পারে আমরা অবরুদ্ধ করে রেখেছি। জবাব তোমাকে দিতে হবে। আগে দিল্লি থেকে টাকা নিয়ে আসো। বাংলাকে ভাতে মারা যাবে না।”