সেচমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে তিলপাড়া জলাধারের স্বাস্থ্যপরীক্ষার সময় সামান্য চিড় ধরা পড়ে। সেই সময়েই ্রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করে সেতুর সংস্কারের। সংস্কার খরচের ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকার দেবে, বাকি অর্ধেক কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়ে দেয় তারা আর্থিক সাহায্য করতে পারবে না। এরপর কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিতে জানানো হয়, রাজ্য সরকার বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে এই তিলপাড়া জলাধার-সহ রাজ্য সরকারের আওতায় যে যে সেতু রয়েছে সেগুলোর সংস্কার করা হবে। কেন্দ্র সবুজ সঙ্কেত দিলেই ঋণের জন্য রাজ্য আবেদন করবে। কিন্তু কেন্দ্র টালবাহানা করে।
advertisement
পাঁচ বছর কেটে গেলেও সবুজ সঙ্কেত দিল না। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন, রাজ্য কোষাগার থেকেই এই সেতু সংস্কারের কাজ হবে। গত অগাস্টেই মানস বাবু সেচ দফতরের দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজ্য জুড়ে সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেন সেতু বা জলাধারগুলোর। তাতেই তিলপাড়া জলাধারের সংস্কারের বিষয়টি উঠে আসে।
পাঁচ বছর কেন্দ্রীয় উপেক্ষায় তিলপাড়া মিহিরলাল ব্যারেজের স্বাস্থ্য আরও খারাপ হয়। বর্তমানে সেতুটির বয়স প্রায় ৭৫ বছর। এখন প্রথম লক্ষ্য, দ্রুত জলাধার সংস্কার। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য কীভাবে ধরে রাখা যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। গত দু’মাসে প্রবল বর্ষণের ফলে তিলপাড়া জলাধারের একাংশে ফাটল দেখা দেয়। তাই তিলপাড়া সেতু দিয়ে সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফে। কেবল মোটরবাইক, অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া সেতু ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।