মোদীর দুর্নীতি ফাঁস করে দেব, হুমকি রাহুল গাঁধীর
ক’দিন আগে বলেছিলেন, লোকসভায় তিনি মুখ খোলার সুযোগ পেলে ভূমিকম্প হবে। আজ সংসদ চত্বরে একজোট বিরোধীদের পাশে নিয়ে কার্যত ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটালেন রাহুল গাঁধী। বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। কারণ, তাঁর ব্যক্তিগত দুর্নীতির কথা আমি জানি। সেই কারণেই ভয় পেয়ে আমাকে লোকসভায় বলতে দিচ্ছেন না। আমার কাছে যা তথ্য আছে, বললে প্রধানমন্ত্রীর বেলুন ফুটো হয়ে যাবে!’’
advertisement
ক্ষোভের পাহাড় জমছে, টলমল ডোভাল
তাঁর বিরুদ্ধে ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে অভিযোগের তালিকা। ক্ষোভ জমা হচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। ফলে আসন টলমল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের। ডোভালের বিরুদ্ধে অভিযোগ বহু। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয়হীনতা। সীমান্তে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ঘরের নিরাপত্তায় ফাঁক। বৃহত্তর কূটনীতির প্রয়োজনে যে অভিযান গোপন রাখা উচিত ছিল, তা নিয়ে বুক বাজাতে গিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করে তোলা। চিন এবং পাকিস্তান— দুই পড়শির সঙ্গে সংঘাতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হওয়া। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া। সূত্রের খবর, এই সব কারণে বিদেশ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অসন্তোষ এতটাই বেড়েছে যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠছে। ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ’— এই রক্ষাকবচ অবশ্য এখনও রয়েছে প্রাক্তন এই গোয়েন্দা প্রধানের। তবে সাউথ ব্লক মনে করছে, ঘরোয়া ক্ষোভ এতটাই বেশি যে, এই রক্ষাকবচ সত্ত্বেও বেশি দিন বহাল থাকবেন না ডোভাল।
প্রশ্ন অনেক, উত্তর দেবেন না উর্জিত
নোটের আকালের এই বাজারে তাঁর জন্য প্রশ্ন তোলা ছিল অনেক। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথম বার কলকাতায় এসে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়েই যাচ্ছেন উর্জিত পটেল। আজ, বৃহস্পতিবার এই শহরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের বৈঠক। চালু রেওয়াজ হল, সেখানে ছবির জন্য যান চিত্র সাংবাদিকরা। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন গভর্নর। কিন্তু বুধবার শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এ বার সেখানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দেখা করবেন না পটেল। তোলা যাবে না ছবিও। অন্তত স্মরণকালের মধ্যে যা কখনও ঘটেনি।
আমরা কি সবাই প্রতিবন্ধী! প্রশ্নে থতমত মন্ত্রী থাওরচন্দ
প্রশ্নটি শুনেই থতমত খেলেন মন্ত্রীমশাই। শীতের দিল্লিতে মাথায় শিমলা টুপি, কানে হেডফোন নিয়ে রাজ্যসভায় বসে আছেন। হঠাৎই কানে এল, মন্ত্রীমশাই কি আমাদের সকলকেই প্রতিবন্ধী বানিয়ে দিলেন! ব্যাপারটি কী হতে চলেছে, ঠাওর করতে পারলেন না থাওরচন্দ গহলৌত। সংসদে তুমুল হট্টগোলের মধ্যে তাঁর মন্ত্রকের প্রতিবন্ধীদের অধিকার সংক্রান্ত বিলটি পাশেই সন্ধি হয়েছে বিরোধীদের সঙ্গে। তবে কি দু’বছর ধরে বিলের উপরে ঘুরতে থাকা অনিশ্চয়তার মেঘ এ যাত্রাতেও কাটল না? এ সব সাত-পাঁচ ভাবার আগেই প্রথম হামলাটি এল সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির কাছ থেকে। তার সঙ্গে পাল্লা দিলেন মায়াবতীর দলের সতীশ মিশ্র। বিলে লেখা আছে— যাঁর ভাবনাশক্তি, মুডেও যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে, তিনি ‘মানসিক অসুস্থ’। আর সমস্যা নিরসনে, যুক্তি পেশে সমস্যা থাকলে তাঁকে বলা হবে বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে প্রতিবন্ধী বা ‘ইন্টেলেকচুয়ালি ডিজএব্লড’।
দেশ জুড়ে ফের উদ্ধার প্রায় ১২ কোটি, দুর্ভোগে মানুষ
দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ যখন এটিএম এবং ব্যাংক কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছেন কবে ব্যাংকগুলিতে পর্যাপ্ত নোট আসবে এবং নিজেদের টাকা পেতে হয়রান হতে হবে না, ঠিক তখনই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে যে কোটি কোটি টাকার নতুন নোট ঘুরপথে চলে যাচ্ছে কালো টাকার কারবারি কিংবা প্রভাবশালীদের হাতে। কীভাবে যাচ্ছে? সাধারণ মানুষ যেখানে দিনে ২ হাজার টাকার একটা নোট ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছেন না, সেখানে সেই ২ হাজার নোটের হাজার হাজার বান্ডিল কীভাবে ব্যাংকের বাইরে চলে আসছে? সামান্য ২ হাজার টাকা পেতে যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা এটিএম কিংবা ব্যাংক কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে, তখন প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নতুন নোটের পাহাড় উদ্ধার হচ্ছে। বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর এই চক্রে সবথেকে প্রতারিত হয়ে চলেছেন সাধারণ মানুষ। আজও নতুন নোট লুটের সেই প্রবণতা বজায় রেখেই গোয়া, চণ্ডীগড়, মহারাষ্ট্রের থানে এবং বেঙ্গালুরু থেকে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকার নতুন নোট উদ্ধার হয়েছে। দিল্লির করোল বাগের একটি হোটেল থেকে ধরা পড়েছে একটি হাওলা গ্যাং। তাদের থেকে মিলেছে থেকে পুরানো নোটের ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। রাজধানীরই এক রিয়েল এস্টেট এজেন্টের থেকে আবার মিলেছে আয়ের সঙ্গে সংগতিহীন প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা নতুন নোটে। শুধু তাই নয়, মিলেছে ১ কোটি সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার গয়নাও।
৫০ লক্ষ বদল, জেরা বেহালার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্যাশিয়ারকে
নোট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হলেন কলকাতার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্যাশিয়ার। নিয়ম ভেঙে ৫০ লক্ষের বেশি কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ উঠেছে ক্যাশিয়ার রঞ্জিতকুমার ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এই কাজে জড়িত রয়েছেন ওই ব্যাংকেরই আরও বেশকিছু কর্মী। এর বিনিময়ে তিনি মোটা টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা ও দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করে একদফা জেরা করেছেন আধিকারিকরা। তাঁর ভিত্তিতেই উঠে এসেছে কলকাতার আরও বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্তাদের নাম। রীতিমতো নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে তাঁরা এই কাজ চালাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। বেহালার এই ব্যাংক থেকে প্রোমোটার ও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী কালো টাকা সাদা করিয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
মমতার সঙ্গে বৈঠক, রাজ্যে মার্কিন বিনিয়োগের আশ্বাস
রাজ্যে আসতে পারে মার্কিন বিনিয়োগ। বুধবার সপার্ষদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড ভার্মার প্রায় ৪৫ মিনিটের বৈঠকের পর এমন খবরই পাওয়া গিয়েছে নবান্ন সূত্রে। এ রাজ্যে বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশের কথা ভেবে রিচার্ড বিনিয়োগ আসার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে আশ্বস্ত করেছেন। যদিও এদিন বৈঠকের পর রিচার্ড সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরাসরি এই আশ্বাসের কথা বলেননি। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে এই রাজ্যের শিক্ষা থেকে শুরু করে আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত দু’বছর আমেরিকা ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রতিরক্ষা, গ্রিন এনার্জি এবং জলবায়ু সংক্রান্ত ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমেরিকা কী কী ভাবে কাজ করতে পারে, সেই বিষয়ে আলোচনার কথা জানান রিচার্ড। নতুন বছরের ২০ ও ২১ জানুয়ারি ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’-এ রিচার্ডকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মোদিকে দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে সমস্ত নথি ফাঁসের হুমকি রাহুল গান্ধীর
স্বয়ং নরেন্দ্র মোদিকেই দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে সমস্ত নথিপত্র ফাঁসের হুমকি দিয়ে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি করলেন রাহুল গান্ধী। আজ সংসদ ভবনে রাহুল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত দুর্নীতির প্রমাণ আছে আমার কাছে। লোকসভায় ঠিক সেটাই আমি তথ্যপ্রমাণসহ ফাঁস করতে চাই। আর সেই কারণেই সরকারপক্ষ লোকসভায় আমাকে বলতে বাধা দিচ্ছে। কারণ একবার আমি ওই দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রীর সততার বেলুন চুপসে যাবে। রাহুলের এই বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। তিনি বিজেপি ও সরকারপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, আমাকে একবার লোকসভায় বলতে দেওয়া হোক। তাহলেই দেশবাসী জেনে যাবেন সততার প্রতিমূর্তি প্রধানমন্ত্রী আসলে কতটা সৎ! রাহুলের হুঁশিয়ারি, প্রধানমন্ত্রী আসলে জানেন যে আমার কাছে কতবড় দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। তাই তিনি চরম আতঙ্কিত। তাঁর নির্দেশেই তাই সরকারপক্ষ ও বিজেপি লোকসভায় হইচই করে চলেছে যাতে আমরা বিরোধীরা কোনও কথাই বলতে না পারি।
শেষের সে দিন আজই, একেবারেই অচল পুরনো ৫০০ নোট
নগদ সঙ্কট এখনও কাটেনি ৷ এরই মধ্যে চলে এল শেষের সেই দিন ৷ হ্যাঁ, আজ, বৃহস্পতিবারই মধ্যরাত থেকে একেবারেই বাতিল হয়ে যাচ্ছে পুরনো ৫০০ টাকা ৷ অথার্ৎ হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, রান্নার গ্যাস কেনা-সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবায় যে এতদিন পুরনো ৫০০ টাকার নোট চলছিল, তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৷
শিক্ষায় নিরঙ্কুশ ছড়ি ঘোরাতে আসছে বিল
উচ্চশিক্ষায় সরকারের ভূমিকা আমূল পরিবর্তনের পথে হাঁটছে তৃণমূল ৷ বিধানসভার চলতি অধিবেশনে এ জন্য বিল এনে এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশলে এগোচ্ছে শাসকদল ৷
মোদীরই হাঁড়ি ভাঙবেন হাটে, হুমকি রাহুলের
মোদীর ‘ব্যক্তিগত দুর্নীতি’ নিয়ে বলতে চান বলেই তাঁকে লোকসভায় বলতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ লোকসভার ভিতরে ‘ভূমিকম্পে’ ঘটানোর সুযোগ না পেলেও বুধবার সংসদ ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করে রাজধানীর রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন রাহুল গান্ধি ৷
ঘড়ির মাঞ্জাকেই এ বার ভোকাট্টা করে দিল কোর্ট
টেনে খেলা আর ছেড়ে খেলা ৷ আকাশে ঘুড়ি উড়ছে ৷ নীচে সর্ষেখেতের ধারে লাটাই হাতে দাঁড়িয়ে বালক ৷ হঠাৎ যেন প্রেমিকাকে ছিনিয়ে নিতে আকাশে হাজির আরও একটা ঘুড়ি ৷ বালক চেঁচিয়ে উঠল ‘দুয়ো সুতো ছাড়ে না, জুতো খায়....৷’