দশমীর ভোরে বধূর অপমৃত্যু, ধৃত স্বামী
বছর চব্বিশের যুবতীটিকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তখন দেহে আর সাড় নেই। মুখ ভেসে যাচ্ছে রক্তে। কপাল ফুলে উঠেছে জোরালো আঘাতে।
মিতা মণ্ডল নামে ওই যুবতীর দেহ পরীক্ষা করে হাওড়ার ফুলেশ্বরের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়েছিল। যুবতীর স্বামী রানা মণ্ডল আবার তাঁদের হাসপাতালেরই কর্মী। কী করে স্ত্রীর এই অবস্থা হল, তা নিয়ে রানার কথাবার্তায় সন্দেহ আরও বাড়ে চিকিৎসকদের। তাঁদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ এসে আটক করে মিতার দেহ। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্বামী রানা ও শ্বশুর বিজেন্দ্র মণ্ডলকে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধেও। তাঁরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
advertisement
বৃষ্টি নেই, একাদশী ভাসল জনস্রোতে
তিথি মেনে পুজো শেষ হলেও দাঁড়ি পড়েনি উৎসবে। বুধবার শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে উৎসাহী মানুষের ঢল বুঝিয়ে দিল সেটাই। পুজোর প্রথম দিন থেকেই অসুর হয়ে শহরে হানা দিয়েছিল আবহাওয়া। প্রতিদিনই কোনও না কোনও সময়ে দফায় দফায় তুমুল বৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। সপ্তমী এবং নবমীর দিন প্রবল বৃষ্টিতে জলও জমেছিল কিছু রাস্তায়। কিন্তু একাদশীতে আকাশ ছিল পরিষ্কার। সেই সঙ্গে শহরের রাস্তা থেকে উধাও যানজট। ফলে উৎসাহী জনতা বুধবার সন্ধ্যায় ভিড় জমিয়েছে আলিপুর, গড়িয়াহাট, উল্টোডাঙা-সহ শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে।
শব্দের গেরোয় আটকে ভারত-পাক আলোচনা
জটিলতা একটি শব্দকে ঘিরে। আপাতত সেই শব্দটিই ভারত ও পাকিস্তানের সচিব পর্য়ায়ের আলোচনা শুরুর পথে প্রধান বাধা। উরিতে হামলা— তার পর ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। দু’দেশের মধ্যে এখন অবশ্য প্রথা মোতাবেক পর্দার আড়ালে ‘ট্র্যাক-টু’ আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু বিদেশসচিব পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে শব্দচয়নকে ঘিরে। যা নিয়ে বিতর্ক, সেই শব্দটি হল ‘দ্বিপাক্ষিক’। পাকিস্তান বলছে, আলোচনার নাম দেওয়া হোক, ‘সার্বিক’ বা ‘সুসংহত’ আলোচনা। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘কম্পোজিট ডায়লগ’। অতীতে যেমন বলা হতো। কিন্তু ভারত বলছে ‘না’। কাগজে-কলমে লিখে দিতে হবে, এই আলোচনার নাম হচ্ছে ‘দ্বিপাক্ষিক’ আলোচনা।
পাম্পোরে শেষ গুলির লড়াই, মৃত্যু ২ জঙ্গিরই
শুরু হয়েছিল তিন দিন আগে। আজ শেষ হলো অভিযান। দুই জঙ্গিকে নিকেশ করার পরে সেনা জানাল, ৫৬ ঘণ্টার অভিযানে সমাপ্তি টেনেছে তারা। কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার পাম্পোরের ‘জম্মু-কাশ্মীর এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট’ (ইডিআই) গত সোমবার থেকে দখলে রেখেছিল জঙ্গিরা। উদ্দেশ্য ছিল, বিশাল ওই সরকারি ভবনে লুকিয়ে থেকে দফায় দফায় হামলা চালানোর সঙ্গে সঙ্গে বেশি সংখ্যক সেনা-পুলিশকে মারার। কিন্তু জঙ্গিদের সেই ছক বানচাল করে দেয় সেনা। অভিযানের শুরুতেই তারা জানিয়েছিল, পুরো ভবনটি জঙ্গি-দখল থেকে মুক্ত করতে অন্তত তিন থেকে চার দিন সময় লাগতে পারে তাদের। কারণ এ বার আর কোনও ভাবেই কোনও সেনা জওয়ানের প্রাণের বিনিময়ে জঙ্গিদের খতম করতে চায়নি সেনা। তারা বরং ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছিল। অপেক্ষা করছিল জঙ্গিদের গুলি শেষ হওয়ার।
একাদশীতে দিনভর ঠাকুর দেখতে উপচে পড়ল ভিড়
বৃষ্টি অসুর কেড়ে নিয়েছিল অষ্টমী-নবমীর আনন্দ। তাই রাস্তায় নেমে, মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমিয়ে মহানগরের বাসিন্দারা সেই অতৃপ্ত আনন্দকে পুষিয়ে নিলেন একাদশীতে। ঘূর্ণাবর্তের আতঙ্কে পুজোর আগে থেকেই আশঙ্কায় ছিলেন মানুষজন। তা সত্ত্বেও সপ্তমীতে ঝিরঝিরে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মণ্ডপ-প্রতিমা দর্শন থেকে বিরত হননি তাঁরা। কিন্তু অষ্টমী-নবমীর সন্ধ্যার তুমুল বৃষ্টি সেই আনন্দের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। দশমীতে সেই পরিমাণ বৃষ্টি না হলেও, কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টি কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রতিমা দর্শনে। কিন্তু একাদশীতে কোনও বাধা মানতে রাজি নন উৎসাহী মানুষজন। বুধবার মহরম থাকায় সরকারি নির্দেশে কোনও প্রতিমাই নিরঞ্জন হয়নি। তাই এই সুযোগ আর হাতছাড়া করতে চাননি দর্শনার্থীরা। বুধবার ভোর থেকেই উৎসাহী লোকজনের ভিড় জমতে থাকে। শুধু কলকাতা নয়, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, বর্ধমানসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষ এদিন সকালেই শহরে হাজির হয়েছেন।
কাশ্মীরে পাম্পোরে সেনা অপারেশনে নিকেশ জঙ্গি
গাড়ি না থামানোয় এবং টাকা চেয়ে না পাওয়ায় বাগুইআটির জ্যাংড়ায় এক ব্যবসায়ী ও তাঁর ভাইকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। সুজিত মণ্ডল নামে ওই কাউন্সিলারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বুধবার অনুপকুমার গুপ্তা নামে প্রহৃত ব্যবসায়ী বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মমতার ইচ্ছায় কাল রেড রোডে দুর্গা কার্নিভাল
মুম্বইয়ে গণপতি উৎসবের বিসর্জন হয় দেখার মতো। রীতিমতো শোভাযাত্রা করে একের পর এক গণপতি বাপ্পার বিসর্জন হয়। তবে সরকারি উদ্যোগে হয় না। এবার রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে হচ্ছে ‘দুর্গা কার্নিভাল’। বিসর্জনের আগে দশভুজা’কে নিয়ে হচ্ছে বিশেষ শোভাযাত্রা। আগামীকাল ১৪ মে বিকাল পাঁচটা থেকে রেড রোডে সরকারি উদ্যোগে ওই শোভাযাত্রা হবে। যা পুজোর সময় বিদেশি পর্যটকদের টানার ক্ষেত্রে একটি নতুন পদক্ষেপ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। স্বাভাবিকভাবে রেড রোড থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হবে বলে মনে করছে অনেকেই। তাই আজ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসাবে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটিকে জরুরি বৈঠকে ডেকেছে পুলিশ।
নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে দুই বাংলার প্রতিমা বিসর্জন ইছামতীতে
টাকির ইছামতীর জলে প্রতিমা মিশে গেল দু’বাংলার মাতৃপ্রতিমা নিরঞ্জনের বিষাদাশ্রু। সীমান্তের কড়াকড়ি উপেক্ষা করেই প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দু’পার বাংলার মানুষের আবেগ ইছামতীর জলে একাকার হয়ে গিয়েছে। আর এই মহামিলনের সাক্ষী হয়ে থাকল ইছামতীর দু’পারের অগণিত মানুষ। এমনিতেই কাশ্মীর সীমান্তে অনবরত জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ভারত-বাংলা সীমান্তের উপর প্রভাব ফেলেছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ, পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে। সীমান্তের কড়াকড়ি তো আর দু’পারের মানুষের ভাবাবেগকে আটকাতে পারে না। সমস্ত নিরাপত্তা সত্ত্বেও দুর্গাপ্রতিমার ভাসান দেখতে এবারেও দু’কূল ছাপিয়ে লোক জড়ো হয়েছিল।
নাছোড় বৃষ্টিতে ধ্বস্ত উত্তর, হন্যে পর্যটকরা
তৃতীয়া সন্ধে থেকে বৃষ্টি তাড়া করেছে পুজোর বাংলাকে ৷ কলকাতার পুজো মাটি করে ছেড়েছে নবমীর অঝোরধারা ৷ বিসর্জনের বাজনা বাজলেও, বাংলার পিছু ছাড়েনি বর্ষণ ৷
আয়কর দিলেই সোনার শংসাপত্র
সোনা, রুপো বা ব্রোঞ্জ মেডেল হয়তো পাবেন না, কিন্তু সার্টিফিকেট যদি ভাগ্যে জোটে, তাই বা মন্দ কী ! এমন সুযোগই করে দিচ্ছে আয়কর দফতর ৷
নবকলেবরে বিসর্জনেও চিন্তা দূষণ
দশমী পেরিয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু পুজো এখনও শেষ নয় ৷ আরও দু’দিন বিসর্জন বাকি যে ৷ আর এই দু’দিন, অথার্ৎ আজ বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বিসর্জনের দূষণ ঠেকানোই বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে ৷
সরপুরিয়া, সরভাজার একক স্রষ্টার সম্মান দাবি করবে রাজ্য
রসগোল্লা নিয়ে ওডিশার সঙ্গে টানাপোড়েন পুরোদমে ৷ গত অগাস্টেই কলকাতায় রসগোল্লার পাওয়ার পক্ষে সওয়াল শুনে পেটেন্ট অফিসের কন্ট্রোলার জেনারেল ওমপ্রকাশ গুপ্তার নেতৃত্ব দশ সদস্যের দল ৷