#কলকাতা: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি ইস্যুতে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত জোরদার। সোমবার সকাল দশটায় মুখ্য সচিবকে তলব করেন রাজ্যপাল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে তাদের তলব করলেও রাজভবনে আসলেন না তারা। উল্টে নবান্ন থেকে রাজভবনে বার্তা দেওয়া হল খুব শীঘ্রই মুখ্যসচিব ও ডিজি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন । যা অবশ্য গ্রহণযোগ্য নয়, বলেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় । তিনি এও ট্যুইট করেন ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে ডাকা সত্ত্বেও তাদের না আসাতে তিনি অবাক। এদিকে সোমবার সকালে ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলকে অসাংবিধানিক বলে দাবি করেন। শুধু তাই নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ উস্কানিমূলক বলেও ট্যুইটে দাবি করেন রাজ্যপাল।
advertisement
নন স্টপ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকেই নানা ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাতের পথে হেঁটেছেন জগদীপ ধনখড়। পাল্টা সুর চড়িয়েছে শাসক দল। কিন্তু তাতেও সংঘাত থামেনি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে এবার সেই সংঘাত আরও একধাপ এগোল। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীকে বিজ্ঞাপন নিয়েও খোঁচাও দেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত তার বিজ্ঞাপন তুলে নেওয়া। এনআরসি নয় নাগরিকত্ব আইন নয় এই মর্মে কিভাবে নির্বাচিত সরকারের একজন মাথা সরকারি টাকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। রবিবার রাজভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল।
সিএবি-র বিরোধিতায় গত শুক্রবার থেকে রাজ্যের নানা প্রান্ত উত্তপ্ত। বারবার শান্তির বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে। শান্তির বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপালও।রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন তা জানতেই রবিবার সন্ধ্যায় রাজভবন থেকে মুখ্যসচিব ও ডিজিকে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়। সোমবার সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে মুখ্য সচিব এবং ডিজিকে তলব করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে যাবার পরেও তারা আসেননি রাজভবনে।
অবশ্য তার কয়েক ঘণ্টা বাদে নবান্ন থেকে রাজভবনে বার্তা যায় তারা আজ না আসতে পারলেও অতি শীঘ্রই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মুখ্য সচিব এবং ডিজি । পর পর ফের ট্যুইট করে রাজ্যের ওপর তোপ দাগেন রাজ্যপাল। ট্যুইট করে তিনি বলেন, এদিন মুখ্য সচিব এবং ডিজি না আসাতে তিনি অবাক এবং বিস্মিত। রাজ্যের বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে তিনি আলোচনা চেয়েছিলেন। তাদের না আসাটা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে ট্যুইটে দাবি করেন রাজ্যপাল।
সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল নিয়েও খোঁচা দেন রাজ্যপাল ট্যুইট করে। রাজ্যপালের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল অসাংবিধানিক। আইনের চোখে এই মিছিল অসাংবিধানিক। তিনি এও বলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাজ উস্কানিমূলক। অসাংবিধানিক কাজ থেকে বিরত থাকুন। আইন ও সংবিধান মেনেই আমি কাজ করি। ট্যুইটে এও দাবি করেন রাজ্যপাল। তিনি আরও বলেন,‘ আমরা সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ। বিধান রক্ষায় বুদ্ধিজীবীরা সরব হয়েছেন। বুদ্ধিজীবীদের সাধুবাদ জানাই। আশাকরি সবাই এভাবে এগিয়ে আসবেন।’