চন্দ্রযান ৩- লঞ্চপ্যাডের রকেটের উৎক্ষেপণ থেকে অরবিটে পৌঁছনো অবধি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। রকেটের লিকুইড প্রোপালশনে ছিলেন তিনি। লিকুইড গ্রাউন্ড সিস্টেমের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখভালের দায়িত্বে ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন: মশলা খেলেই উধাও হবে মন খারাপ! মেজাজ হবে ফুরফুরে, ডিপ্রেশনের মহৌষধ এই উপাদান
চন্দ্রযান ২-এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন শুভ্রদীপ, সেই বছরই যোগ দিয়েছিলেন ইসরোতে। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর অত্যন্ত খুশি এই বিজ্ঞানী। তিনি জানিয়েছেন, ” চন্দ্রযান২ এর পরে সবাই ভেবেছিল যে আমরা আর পারব না। আমাদের তো বাইরে কিছু বলা বারণ থাকে, তাই আমরা সেদিন থেকেই চন্দ্রযান ৩কে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করা শুরু করে দিয়েছিলাম। প্রচুর টেস্টিং করা প্রচুর বার ব্যর্থ হওয়ার মধ্যে দিয়ে এই সাফল্য এসেছে।”
advertisement
ছেলেবেলা থেকে কীসে উৎসাহ ছিল বিজ্ঞানীর? তার উত্তরে তিনি জানান, “ছোটবেলা থেকেই আমার অ্যাস্ট্রোনমিতে উৎসাহ ছিল । কিন্তু মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে যা হয় অ্যাস্ট্রনমি সম্পর্কে সেরকম কেউ ভাবে না। ইচ্ছেটা ইচ্ছের জায়গাতে থেকে যায়। ” কিন্তু তাঁর ইচ্ছে থেমে থাকেনি। আইআইটি গুয়াহাটি থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকত্তোর পাশ করে ইসরোতে যোগ দিয়েছেন শুভ্রদীপ। তিনি জানিয়েছেন, ” ইসরো আমাকে সুযোগ দেয় স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করার। স্নাতকোত্তর শেষ করে ইসরোতে জয়েন করি। “
হেরিটেজ ইন্সটিটিউড অফ টেকনোলজিতে স্নাতক করেছেন এই মেধাবি বাঙালি বিজ্ঞানী। শুভ্রদীপের এই সাফল্যে অত্যন্ত খুশি তাঁর পরিবারের লোক। চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডিয়ের দিন বাবা-মাকে শ্রীহরিকোটায় ডেকে নেন শুভ্রদ্বীপ। একসঙ্গে বিক্রমের লাইভ ল্যান্ডিং দেখেন পুরও পরিবার।
২ সেপ্টেম্বর আরও একটি রকেট লঞ্চ করছে ইসরো। সূর্যের কাছে একটি পয়েন্টে রকেট পাঠাচ্ছে ইসরো। মিশনের নাম আদিত্য এল ওয়ান। এই মিশনেও যুক্ত রয়েছেন গড়িয়ার এই বিজ্ঞানী। চাঁদ ছোঁয়ার পরে এবার সূর্যের কাছাকাছি উড়ান দিতে চলেছে শুভ্রদীপের স্বপ্নরা।