এ দিন সন্ধ্যায় কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি নামে৷ মৃত কিশোরের বাবা পড়ে দাবি করেন, সন্ধেবেলা টিউশন পড়ে ফিরছিল ওই কিশোর৷ বৃষ্টির কারণে গলিতে জল জমে ছিল৷ বিদ্যুতের খুঁটির কাছে জমা জলে পা দিতেই তাঁর ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বলে দাবি মৃতের বাবার৷
সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে ওই কিশোর৷ কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে বুঝতে পেরে স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করে৷ শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কিশোরকে উদ্ধার করা হয়৷
advertisement
আরও পড়ুন: হরিদেবপুর কান্ডের জের, একসঙ্গে ৬২ জন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পুরসভার
প্রথমে কিশোরকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ স্থানীয় কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তীর দাবি, হাসপাতালেই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷
গত রবিবার হরিদেবপুরে অনেকটা একই ভাবে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত লেগে মৃত্যু হয় এক কিশোরের৷ সেই ঘটনার পর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই একই ভাবে প্রাণ গেল আর এক কিশোরের৷ ফলে হরিদেবপুরের ঘটনার পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিলেও পুরসভা এবং সিইএসসি-র নজরদারি নিয়ে আবারও গুরুতর প্রশ্ন উঠে গেল৷
হরিদেবপুরের ঘটনার পর প্রায় গোটা শহর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিপজ্জনক বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল৷ বৃষ্টি হলেই যে বিপদ বাড়বে, তেমন আশঙ্কাও ছিল৷ রাজাবাজারের ঘটনা সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করল৷