দমদম বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরব ফেরত ওই যুবককে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে চালক আরেকজন স্বাস্থ্যকর্মী বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে আসে দেখা যায় ও স্বাস্থ্য কর্মী মুখে একদম সস্তার সার্জিকাল মাস্ক এবং হাতে ততোধিক সস্তার পাতলা প্লাস্টিকের গ্লাভস লাগানো আছে। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা who,কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর,রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী ন্যূনতম N95 মাস্ক পড়া উচিত এবং হাতেও উন্নত মানের রাবার গ্লাভস পরা উচিত।
advertisement
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে যেকোনও ব্যক্তির 3 ফুট দূরত্বে থাকা অন্য যেকোনও মানুষেরই ন্যূনতম সুরক্ষার জন্য এই মাস্ক ও গ্লাভস পরা জরুরি। তবে বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ অন্য। দমদম বিমানবন্দর থেকে শুরু করে কলকাতা বন্দর, রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী চেকপোস্ট বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল মেডিকেল কলেজগুলোতে যে সমস্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক নিরাপত্তারক্ষী সাধারন স্বাস্থ্য কর্মী তাদের সুরক্ষা শিকেয় উঠেছে তাদেরকে দেওয়া হয় অত্যন্ত সস্তা মানের অপ্রয়োজনীয় সুরক্ষার জিনিস, যা দিয়ে আদৌ নভেল করোনাভাইরাস ঠেকানো সম্ভব নয়।বহু সময়ই চাকরি বাঁচানোর তাগিদে,ভয়ে তলার দিকের এই সব স্বাস্থ্যকর্মীরা আদৌ কোনো অভিযোগ করে উঠতে পারে না এই সব বিষয় নিয়ে।তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই স্বাস্থ্যকর্মীদের এইভাবে বিপদের মুখে ফেলে দেওয়া কোন মতেই উচিত নয়। নভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ব্যক্তির পাশে থাকা এই স্বাস্থ্যকর্মীদেরই সবথেকে বেশি সুরক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত।
ABHIJIT CHANDA