কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রহ্মপুরের প্রগতি পার্ক, সর্দার পার্ক এলাকার। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকায় কোনও নর্দমা তৈরি হয়নি। জল এদিক ওদিক ফেলতে হয়। সারাবছরই এই সমস্যা। আগে এলাকা ফাঁকা ছিল, তখন ফাঁকা জমিতে ওই জল ফেলা যেত। এখন এলাকায় বসতি বাড়ছে, সমস্যা নিত্যদিন প্রকট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এই পাখি উড়লেই হয় বাঁশির সুরের শব্দ! নিশাচর এই হাঁস কোথায় দেখতে পাবেন জানেন? রইল হদিশ
advertisement
তবে শুধু নিকাশি ব্যবস্থা নয়। রাস্তার অবস্থাও আতকে ওঠার মত। ইট বেরিয়ে গর্ত হয়ে রয়েছে, একথায় যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠেছে এই রাস্তা। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন দীর্ঘদিন পিচের রাস্তা হয়নি। রাবিশ ফেলে নিজেদের মতও করে চলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভয়ঙ্কর অবস্থায় কাটে বর্ষার সময়টা।
নেই নিকাশি, বেহাল রাস্তা জল থৈ থৈ প্রগতি পার্ক। তিন মাস কচিকাঁচাদের স্কুল বন্ধ। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গাড়ি পাওয়া দুস্কর । সব মিলিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীর মনে। কাউন্সিলরের কাছে আবেদন করেছেন তাঁরা, কোনও লাভই হয়নি দাবি স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: ব্লাড সুগারের মহৌষধ এই ৩ পাতা! খেলেই দৌড়ে পালাবে ডায়াবেটিস, জানুন চিকিৎসক কী বলছেন
এলাকার বাসিন্দা সবিতা নাইয়্যার অভিযোগ, সারা বছরই বাড়ির পাশে নোংরা জল জমে থাকে। এই জল তার বাড়ির ব্যবহার করা জল। নর্দমা না থাকার কারণে বাড়ির দেওয়ালের পাশে কিছু অংশ মাটি খুঁড়ে এই ভাবে জল ফেলতে হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন পুষ্পা যাদব নামে আরও এক মহিলার। জমা জলে লার্ভা হয়। পরিষ্কার করার কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না পুরসভা থেকে।
সাধনা সরকারের অভিযোগ, তিনি ও তার পাশের কয়েকটি বাড়ির জল ফেলতে হচ্ছে পরিত্যক্ত জমিতে। কিন্তু এই জমিতে কয়েকদিন পরে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হবে, তখন জল কোথায় ফেলবেন তা নিয়ে এখন থেকেই ভেবে কুল পাচ্ছেন না।
এলাকারবাসীর সঙ্গে সহমত ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ দাস। তিনি জানিয়েছেন, ওই এলাকার সব থেকে বড় সমস্যা নিকাশি। কারণ ওই এলাকায় কখনও নিকাশি ব্যবস্থা করা হয়নি। এলাকার নিকাশি সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যে KEIIP এর কাজ শেষ পর্যায়ে। সমস্ত বড় মেইন রাস্তায় এই প্রকল্পে হাই ড্রেন তৈরির কাজ হয়েছে। ব্রহ্মপুর এলাকায় ৩০০ মিটার মতও কাজ বাকি আছে। এই কাজ শেষ হলেই লেন বাই লেন অর্থাৎ পাড়ার ভিতরে নর্দমা তৈরি করে বাড়ি বাড়ি সংযোগ করে হাই ড্রেনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। নর্দমার কাজ মিটলেই রাস্তাও পুরো দমে মেরামতি হবে বলে তিনি জানান।
ইতিমধ্যে রাস্তা তৈরি ও পাড়ার নিকাশির জন্য ১১১ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে টেন্ডারও পাশ হয়েছে। আশা করছেন ফেব্রুয়ারি থেকে এই কাজ শুরু করা যাবে।