মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যে এখনও ৫০০ টাকার নতুন নোট আসেনি ৷ পর্যাপ্ত ১০, ২০, ৫০ বা ১০০ টাকার নোট নেই ৷ নেই ২০০০ টাকার নোটও ৷ তাই কেন্দ্রকে যে ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, সেই সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি ঠিক না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলেন তিনি যাবেন বলে আজ আরও একবার জানালেন ৷ তৃণমূল নেত্রীর হুঙ্কার, ‘‘এসব তুঘলকি কারবার চলবে না ৷ তুঘলকি কারবার চালাচ্ছে কেন্দ্র ৷ আমরা এসব মেনে নিতে পারব না ৷ ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছি ৷ সময়সীমার মধ্যে কাজ না হলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব ৷ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট চালু রাখা হোক, মানুষ নাহলে কি করে বাঁচবে?’
advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একহাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, ‘‘মোদি সরকার জনস্বার্থবিরোধী , শিল্পবিরোধী, কৃষকবিরোধী !মানুষের উপর লুঠের রাজত্ব চলছে ৷ দৈনিক ২৫ হাজার কোটি টাকা জিডিপি ঘাটতি ৷ মানুষই রাজনৈতিক দল তৈরি করে ৷ রাজনৈতিক দল মানুষ তৈরি করে না ৷ তাই মানুষই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার ৷ মানুষের সঙ্গে বেইমানি হলে রেয়াত করব না ৷ ’’
মানুষের জমানো টাকা ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে কি না, তা নিয়েও উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘ মানুষ ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা পাচ্ছেন না ৷ নিজেদের জমানো টাকা পাচ্ছেন না মানুষ ৷ মানুষের জমানো টাকা ব্যাঙ্কে রয়েছে তো? নাকি সেগুলোও সব উধাও হয়ে গিয়েছে? আমরা কী তাহলে দুর্ভিক্ষের পথে চলেছি ? ’’
নোটের বদলে কেন্দ্রীয় সরকার প্লাস্টিক মানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে ৷ যা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, ‘‘দেশে মাত্র ৪.৪ শতাংশ মানুষ প্লাস্টিক মানি ব্যবহার করেন ৷ বাকি ৯৫ শতাংশের বেশি মানুষ তাহলে কী করবে ? ’’ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আধিকারিকের আশ্বাসেও সন্তুষ্ট নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘চেষ্টা করছি, এসব বেকার কথা ৷ আমরা জানতে চাইছি কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ৷ আর এরা বলছে আমরা চেষ্টা করছি ! এতে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না৷ কিভাবে গ্রামবাংলার মানুষ টাকা পাবে ? কৃষকরা কিভাবে ধান উৎপাদণ করবে ? রবি শস্যের উৎপাদন কিভাবে হবে ? বাংলায় টাকা নেই, মানুষ কী প্লাস্টিক খাবে ? এই পরিস্থিতি বেশিদিন চলতে পারে না ৷ ১১ দিনে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকার জিডিপি নষ্ট হয়েছে ৷ এভাবে দেশ চলতে পারে না ৷ খালি বিজেপির নাম করে জন ধন যোজনা হচ্ছে ৷ দেশের মানুষ মরছে, আর বিজেপি ফুলে ফেঁপে উঠছে ৷ এটা চলতে পারে না ৷ দেশটাকে দেউলিয়ার পথে ঠেলে দিচ্ছে বিজেপি ৷ ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছি ৷ সময় শেষ হলেই অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেই আন্দোলনের পথ ঠিক করব ৷ আমি যা বলি তা করে দেখাই, এটাই আমার ক্রেডেনশিয়াল !’’