এসটিএফ সূত্রে খবর, ২০২২ সালের গত ডিসেম্বরে গোপন বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছিল হাওড়া থেকে আইএস জঙ্গি সন্দেহ ধৃত সাদ্দামেরা। তাঁর সঙ্গে এই পরিকল্পনায় শামিল ছিল মধ্যপ্রদেশ থেকে ধৃত আবদুল রাকিব কুরেশিও। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে আয়োজিত এই বৈঠকে নাকি যোগ দিতেন জঙ্গি গোষ্ঠীর বড় কোনও মাথা। পরে সেই বৈঠক ২০২৩-এর জানুয়ারি মাসে পিছিয়ে দেওয়া হয়। তার আগেই অবশ্য কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্কফোর্সের হাতে ধরা পড়ে যায় সাদ্দামেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: কৃষকদের জন্য বড়সড় সিদ্ধান্ত সরকারের! কৃষি খাতে এ-বার তৈরি হবে ৩ সমবায় সমিতি!
২০০৯ সালে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ধরা পড়েছিল কুরেশি। ২০১৪ সালে তালিবানি স্লোগান, ২০১৯ সালে অপর একটি মামলা-সহ মোট তিনটি মামলা রয়েছে আব্দুল কুরেশির বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে ছাড়া পাওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গি কার্যকলাপের প্রচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল মধ্যপ্রদেশ থেকে ধৃত এই জঙ্গি।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের মতো শহরের আয়ু আর মাত্র কটা দিন! ধ্বংসের পিছনে কারণ জানলে অবাক হবেন
এসটিএফ গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই কুরেশি-সাদ্দামেরা একা একা কাজ করত না। গোটা বিষয়টার পিছনে জড়িত রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীর বড় কোনও মাথা। তবে আবদুল কুরেশি ও সাদ্দাম এর আগে মুখোমুখি হয়েছিল কি না, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। বর্তমানে গোয়েন্দারা তাদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করছে।
সূত্রের খবর, ২৬ জানুয়ারির আগে দেশে বড় ধরনের কোনও নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল সদ্দামেরা। রাজ্যের বাইরের কোনও রাজনৈতিক, ধর্মীয় ব্যক্তি ছিল তাঁদের নিশানায়।
ARPITA HAZRA