বেশ কিছু শিশুর বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল ওই শিশু পথ্য গুলো পেতে গেলে তাদেরকে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে। একই দোকানে সমস্ত কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। নইলে আগে থেকে দোকানে অর্ডার দিয়ে রাখতে হচ্ছে। এই বিষয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, তাদের কাছে যতটুকু ছিল ,ততটুকু সবাইকে দিয়েছেন। মূলত ডিস্ট্রিবিউটর কিংবা হোলসেলাররা আসছেন না। তাদের কাছে ফোন করলেও কোন ভাবে মালপত্র সরবরাহ করতে রাজি হচ্ছেন না। যার ফলে বাজারে অন্ততপক্ষে ৪০% বেবি ফুড এর কম সরবরাহ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল বেশিরভাগ ডিস্ট্রিবিউটর হাউসগুলো বন্ধ রয়েছে। বড়বাজারে বাগরি মার্কেট ও মেহতা বিল্ডিংএ , যে সমস্ত বেবি ফুড এর পাইকারি বিক্রেতা রয়েছেন ।তাদের বক্তব্য, করোনা আক্রমণের ফলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে গেছে ।যার জন্য গুদাম থেকে মালপত্র বের করার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও পরিবহন বন্ধ থাকার জন্য শ্রমিকরা কাজে আসতে পারছেন না। পাইকারি বিক্রেতারা আরও জানান ,অন্য কোন গাড়িতে করে নিয়ে আসতে গেলে এবং অন্য কোন শ্রমিকদের দিয়ে মাল বহন করাতে গেলে তাতে অনেক বেশি খরচ পড়ে যাচ্ছে। বেবি ফুড খুব কম লাভে বিক্রি হয়। তাতে অনেকটা বেশি খরচ। লভ্যাংশ থাকছে না। প্রয়োজনে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বেবি ফুড এর গায়ে লেখা দাম এর থেকে বেশি নিলেই , সরকারি আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে সরকার। যার ফলে ঐ সমস্ত পাইকারী বিক্রেতারা বেবি ফুড আনতেও সাহস করছে না। এইভাবে যদি লকডাউন চলতে থাকে, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি বাজারে শিশু খাদ্যের ভয়ঙ্কর অভাব দেখা দেবে। বিশেষ করে খুব অসুবিধায় পড়বেন সদ্য জাত থেকে ১বছরের মধ্যে শিশুরা। আর সেই চিন্তাতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে শিশুদের বাবা-মার। দোকানদার এবং পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি, সরকার যাতে এই অত্যাবশ্যকীয় জিনিসগুলি সরবরাহের জন্য,পরিবহনের ব্যবস্থা করেন। তাতে সমস্যায় পড়বেন না কেউ।
advertisement
SHANKU SANTRA