নবান্ন সূত্রে খবর, প্রায় ২৪২ কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে রাজ্যকে। মূলত এই টাকার মধ্যে কেন্দ্র ৬০% এবং রাজ্য ৪০ শতাংশ খরচ করবে। এই শর্তেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে টাকা দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, ১৯৪৫ সালের আগে তৈরি হওয়া রাজ্যের ২০০০টি স্কুলের পরিকাঠামো সংস্কার সাধনের প্রয়োজন। কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে বহুদিন ধরেই রাজ্যের আলাপ-আলোচনা চলছিল। কেন্দ্রর তরফে একাধিক শর্তও রাজ্যকে দেওয়া হয়েছিল।অবশেষে কেন্দ্রীয় এই বরাদ্দ অনুমোদন করা হল রাজ্যকে।
advertisement
তবে শুধু এ রাজ্য নয়, আরও কয়েকটি রাজ্যকেও এই বরাদ্দ কেন্দ্র দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সমীক্ষা করে দেখে, ১৯৪৫ সালের আগে তৈরি হওয়া ২০০০ টি স্কুলের সংস্কার প্রয়োজন। এর মধ্যে যেমন কলকাতা রয়েছে, তেমনি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ কমবেশি প্রত্যেকটি জেলারই স্কুল রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই অনুমোদনের চিঠি নবান্নে এসে পৌঁছেছে। সূত্রের খবর, শুক্রবারই এই বিষয়টি নিয়ে নবান্নের মুখ্য সচিব স্কুল শিক্ষা দফতরের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যাতে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করা যায় সেই বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছেন রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই যে ২০০০ টি স্কুলের তালিকা তৈরি হয়েছিল সেই স্কুলগুলির পরিকাঠামো সংস্কারের জন্য বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকা এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র দেয়নি রাজ্যকে, যা নিয়ে বারবার সরব হচ্ছে রাজ্য। শুধু তাই নয়, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকা কেন কেন্দ্র আটকে রেখেছে, তা নিয়ে সরব হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার টাকার অনুমোদন দিলেও কেন কেন্দ্র অর্থ রিলিজ করছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি না করা গেলে তার প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। আর তারই মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় ১৯৪৫ সালের আগে তৈরি হওয়া স্কুল গুলির পরিকাঠামো সংস্কার সাধনের জন্য কেন্দ্রের এই বিপুল অর্থ বরাদ্দ কে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়