প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতার খাতিরে গোটা দেশ জুড়ে গত একমাস ধরেই চলছে আন্দোলন ৷ CAA সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে আঘাত করছে বলে অভিমত বামেদের ৷ সেই কারণেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিজেদের রাজ্যে CAA-NPR-NRC না করার অনুরোধ করা হয়েছে বামেদের তরফে ৷ শুধুই CAA-NPR-NRC নয়, ওই প্রেস বিবৃতিতে পলিট ব্যুরো জামিয়া মিলিয়া ও আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এবং পুলিশের নৃশংস ও বর্বর নির্যাতনেরও ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেছে পলিটব্যুরো ৷ প্রতিবাদ আন্দোলনের কারণে জনগণের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবিও তোলা হয়েছে ৷
advertisement
একই ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে নৃশংস নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিমত পলিটব্যুরোর ৷ তাদের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় পুলিশের গুলিবর্ষণ, শতাধিক বাড়িঘর ছিনতাই ও জরিমানা জারি করা হয়েছে ৷ মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের ৷ পলিটব্যুরোর প্রেস বিবৃতিতে শুধু নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গ নয়, জেএনইউ কাণ্ডে পুলিশের তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে শুরু করে কাশ্মীরের বিধিনিষেধ প্রসঙ্গ তুলেও কেন্দ্রের মোদি সরকারকে আক্রমণ করেছে পলিটব্যুরো ৷
অন্যদিকে, শনিবার দুদিনের সফরে রাজ্যে আসেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন ভোর থেকেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। এনআরসি, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে কলকাতা ও রাজ্যের নানা প্রান্তে চলে বামেদের প্রতিবাদ কর্মসূচি। কোথাও কালো পোশাক পরে ‘মোদি গো ব্যাক’ স্লোগান। কোথাও প্রতিবাদে কালো বেলুন। কোথাও পোড়ানো হয় মোদির কুশপুতুল। উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা। রাতভর ধর্মতলায় চলে ধর্ণা, পড়ুয়াদের অবস্থান। রবিবার সকালেও বিক্ষোভ থামেনি ৷ এ দিন বেলুড় থেকে নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠানে যান প্রধানমন্ত্রী। তখনও স্টেডিয়ামের বাইরে চলতে থাকে কালো পতাকা ও স্লোগানিংয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ৷ প্রধানমন্ত্রীর সফর চলাকালীনই তাঁকে বিরোধিতার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা। যতক্ষণ মোদি কলকাতায়, ততক্ষণই স্লোগান উঠল ‘মোদি গো ব্যাক’।