সূত্রের খবর, চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত-সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্ত পাঁচ জন গ্রেফতার হলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। খুনের ঘটনায় পুলিশ ৮০ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করেছে। এর পরেই ৮৭ দিনের মাথায় আলিপুর আদালতে এই জোড়া খুনের ঘটনায় চার্জশিট পেশ করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ৩০২ নম্বর ধারায় খুন, ৩৯৬ নম্বর ধারায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'সঙ্গ দোষে মানুষ ফ্রাস্ট্রেশনে চলে যায়', কার উদ্দেশ্যে বললেন মমতা? তুঙ্গে জল্পনা
আরও পড়ুন: কলকাতায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু মহিলার, এ নিয়ে দ্বিতীয়! পুজোর মুখে বাড়ছে আতঙ্ক
চলতি বছরের ৬ জুন, সোমবার সন্ধ্যায় হরিশ মুখার্জি রোডের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গুজরাটি দম্পতি অশোক শাহ ও রশ্মিতা শাহের রক্তাক্ত মৃতদেহ। দুটি ঘরে দু’জনের দেহ পড়ে ছিল বলে জানা যায়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুর ১টা থেকে ৩টের মধ্যে তাঁদের খুন করা হয়েছে। অশোক শাহের পেটের ডানদিকে ও গলায় গভীর ছুরির আঘাত ছিল। তাঁর স্ত্রী রশ্মিতা শাহকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করা হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেই ৭ এমএম গুলি ও গুলির খোল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এরপর ৮ জুন বুধবার নিহত দম্পতির মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরোনোর সময় তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, এই ঘটনার ৯৯ শতাংশ তদন্ত গুটিয়ে নিয়েছে পুলিশ। এরপর ওইদিন রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার তিনদিনের মাথায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এই জোড়া খুনের ঘটনার মূল পান্ডা এখনও অধরা। তার খোঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।