রাজ্যপাল হিসাবে বিধানসভা ঘুরে গেলেও, বিধানসভার অধিবেশন শুরু করার সুযোগ এবারই প্রথম পেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সম্ভবত, সেটা মনে রেখেই ধনকড়, তার এই সফরকে 'ঐতিহাসিক ' বলে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু, রাজ্যপালের ভাষনকে ঘিরে সাংবিধানিক জটে পরিস্থিতি ক্রমশই ঘোরালো হয়ে উঠেছিল। সংবিধান মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিলেও,আশ্বস্ত হতে পারে নি সরকার। হয়ত, সে কারনেই, সুকৌশলে সংবিধানকে মান্যতা দেওয়ার বার্তা দিতে, বিধানসভায় গিয়ে প্রথমে আম্বেদকর শরণে যেতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে বিধানসভাকে জানানো হয়েছিল, বিধানসভায় পৌঁছে, আম্বেদকরের মূর্তিতে মালা দিয়ে, অধিবেশনে যোগ দেবেন ধনকড়। সেইমত আনা হয়েছিল মোট ৫ টি শ্বেত পদ্মের রিং মালা। রাজ্যপাল, রাজভবন থেকে সঙ্গে এনেছিলেন একটি মালা। বিধানসভায় পৌঁছে আম্বেদকরের মূর্তিতে প্রণাম করে দুটি মালা দেন রাজ্যপাল। আর একটি দেন স্পীকার। অবশিষ্ট থাকে আরো তিনটি মালা।
advertisement
বিধানসভা সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব মালা দিতে পারেন, এটা ধরে নিয়েই একটু বেশি সংখ্যায় আনা হয়েছিল মালা। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত শাসক বা বিরোধী, কোন রাজনৈতিক দলের তরফেই আজ কেউ মালা দিতে যান নি। রাজনৈতিক মহল অবশ্য এর পেছনে সেই বিতর্ককেই খুঁজে পাচ্ছে। তাদের মতে, বিতর্ক এড়াতেই রাজ্যপালের ত্রি-সীমানায় যাননি কেউ। যদিও, বাম, কংগ্রেস তো বটেই, এমনকি বিজেপিও বলছে, বিধানসভার তরফে তাদের আমন্ত্রন না জানালে, তারা তো রবাহুত হয়ে রাজ্যপালের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না।বিধানসভার এক রসিক কর্মী বলছেন, রবি ঠাকুর তার গানে লিখেছিলেন, শুকায় মালা, পূজার থালায় / সেই ম্লানতা ক্ষমা কোর / ক্ষমা কোর / ক্ষমা কোর প্রভু। রবি ঠাকুর তার প্রভুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে ছিলেন। কিন্তু, আজ আম্বেদকরের কাছে কেউ কি ক্ষমা চাইলেন?
ARUP DUTTA