#কলকাতা: টানা ট্যুইট যুদ্ধ। কিন্তু আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা চেয়ে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী । বছরের শেষ দিন তাই তেমনই আলোচনা হল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। দুজনের বৈঠকের ছবি ট্যুইট এ পোস্ট করেন রাজ্যপাল। পোস্ট করে তিনি জানান "শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে সুন্দর ও আন্তরিক আলোচনা হল। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের ২০২০-এর শুভেচ্ছা।"
advertisement
তবে বছরের শেষ দিন রাজ্যপাল নিজের নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তা দেন তিনি। শুভেচ্ছাবার্তা অবশ্য পশ্চিমবঙ্গকে হিংসামুক্ত ২০২০-তে চান তিনি বলে জানিয়েছেন । বার্তায় এও জানিয়েছেন রাজ্যকে আইন মেনে কাজ করতে হবে। রাজ্যের ভাবমূর্তি যাতে সবার উপরে থাকে সেই বার্তা ও তাঁর শুভেচ্ছাবার্তায় রেখেছেন।
পড়ুয়া বিক্ষোভের জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন এ ঢুকতে না পেরে শিক্ষাসংক্রান্ত সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠি দিয়েছিলেন । যার জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি টুইটারে প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। যাার পাল্টা রাজ্যপাল কে লেখা চিঠি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী পাার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই চিঠিতে রাজ্যপাল চাইলে যেকোনো আলোচনাতে রাজ্য সরকার রাজি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এও উল্লেখ ছিল আগ্রহে আন্তরিকতা থাকতে হবে। পাল্টা ট্যুইট করেন রাজ্যপাল। বলেন এটা ইটের বদলে পাটকেল মারার সময় নয়।
মঙ্গলবার এই আবহেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজভবন সূত্রে খবর শিক্ষামন্ত্রীকে বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বারবার কেন বিভিন্ন বৈঠক স্থগিত করে দিচ্ছে তা নিয়ে নিজের ক্ষোভপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত এর আগে রাজ্যপালের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রীর জানিয়েছিলেন শিক্ষা দফতর স্বশাসিত সংস্থা হস্তক্ষেপ করেনা । এদিকে মঙ্গলবার এর বৈঠকের পর রাজ্যপাল পুরো সংশোধনী বিলে তার সম্মতি দেন । এখন দেখার এই বৈঠক ভবিষ্যতে সরকার ও রাজ্যপালের কাজের পথ কতটা সহজ করবে ?