গত জুলাই মাসে কলকাতায় ৫০ লক্ষ টাকা সহ ধরা পড়েন ঝাড়খণ্ডের আইনজীবী রাজীব কুমার। অমিত আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ আনেন, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একটি জনস্বার্থ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁর কাছে ১০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন রাজীব। এই বিষয়ে কোটি টাকায় রফা হয় বলে সূত্রের খবর। এরপরেই রাজীবকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন অমিত।
advertisement
পরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজীবের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, ভয় দেখানো, হুমকি সহ একাধিক অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অমিত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে হেয়ার স্ট্রিট থানা। গ্রেফতার করা হয় রাজীবকে।
পরে অমিতের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত রাজীব। আদালতে তিনি দাবি করেন, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এরপরই আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অমিত আগরওয়াল ও হেয়ার স্ট্রিট থানার তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানোর তথ্য সামনে এসেছে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে এই ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের বাড়ি ও অফিসে অভিযান করে ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল একাধিক নথি। অভিযোগ ছিল, এই অমিত বেআইনি কয়লা খনন চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তদন্ত শুরুর পর রাতে অমিত আগরওয়ালের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। অভিযোগকারী অমিত ছাড়াও এর নেপথ্যে কাদের যোগ রয়েছে পুরো বিষয় তদন্ত করে দেখতে চাইছে সিবিআই।