শীর্ষ আদালতের চূড়ান্ত রায় এখনও আসেনি, তার আগেই এই ২৬৯ জনের চাকরি ফেরাল পর্ষদ। এই মর্মে জেলা বিদ্যালয় সংসদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সোমবার। তবে নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, চাকরির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে আদালতের রায়ের উপর।
চলতি মাসের ২ তারিখ সুপ্রিম কোটফের দ্বারস্থ হন চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক। চাকরিতে যোগদান করতে দিক রাজ্য-- এই আর্জি জানিয়ে আবেদন করেন শীর্ষ আদালতে। অবিলম্বে বেতন চালু করার আবেদনও জানান ২৬৯ জন। দ্রুত শুনানি চেয়ে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১ নভেম্বর ২৬৯ জনকে কলকাতা হাইকোর্টে মামলায় পার্টি করার জন্য তথ্য চেয়ে পর্ষদকে চিঠি পাঠান মামলাকারীর আইনজীবীরা। তারপরের দিন-ই সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন ২৬৯ জন চাকরি হারানো শিক্ষক।
advertisement
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা হয়েছিল এবং ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা। ২০১৭ সালে অতিরিক্ত একটি মেধাতালিকাও প্রকাশিত হয়। কিন্তু, দ্বিতীয় তালিকাতে অনিয়ম হয়েছে অভিযোগ তুলে কলকাতা আদালতে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এ বিষয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল টেটে ২৬৯ জন চাকরিপ্রাপককে অতিরিক্ত এক নম্বরের কারণ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ স্পষ্ট করতে পারেনি। এই বিষয়ে কোনও নথিও সেভাবে দেওয়া হয়নি। এরপরেই ২৬৯ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশের উপরও ১৮ অক্টোবর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে সিবিআই তদন্তে কোনও বাধা দেয়নি শীর্ষ আদালত। যদিও সিবিআইকে বলা হয়েছে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে।