অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া কীভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে? দেড়- ২ মিনিটের মধ্যে কীভাবেই বা একসঙ্গে এতজনের ইন্টারভিউ নেওয়া সম্ভব হয়েছে? সেই সব নিয়েই সোমবার প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: থমকে নিয়োগ প্রক্রিয়া! তদন্ত শেষ হবে কবে? CBI-কে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
পর্ষদের হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নাকি কোনও ইন্টারভিউই নেওয়া হয়নি প্রার্থীদের। প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১৬ সালের টেট-এ ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা সোমবার আদালতে পেশ করে পর্ষদ।
advertisement
এবার সেই তালিকা থেকে প্রথম পর্যায়ে হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদের ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের তলব করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টোয় তাঁদের হাজিরা দিতে হবে আদালতে।
আরও পড়ুন: বাঙালির বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য! মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে গেলেন পরেশ রাওয়াল
সূত্রের খবর, ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে একাধিক তথ্য জানতে চায় আদালত। শুধু তাই নয়, এই গোটা প্রশ্নোত্তর পর্বই হবে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে। একইসঙ্গে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদেরও তলব করা হবে ধাপে ধাপে। দূরের জেলার ওই ইন্টারভিউয়ারদের যাতায়াত খরচ হিসাবে ২ হাজার টাকা ও কাছের জেলার জন্য যাতায়াত খরচ হিসাবে ৫০০ টাকা দিতে হবে পর্ষদকে। নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
৫ হাজার ২১৬ প্রশিক্ষণহীনের চাকরি বেআইনি পথে বলে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলাকারীরা। অ্যাকাডেমিক স্কোর কম, অথচ ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নম্বর উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।