শ্বেতা চক্রবর্তী বাবা অরুণ বলেন, "অয়ন নিজের কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করেছিল শ্বেতাকে। শ্বেতার ছবি দিয়েই ক্যালেন্ডার, ডায়েরি তৈরি করেছিল।" তাঁর কথায়, ওই কাজের বিনিময়েই পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে।
আরও পড়ুন: শুধু অয়ন শীল নয়, অয়নের বাবা ও ছেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও নজর ইডি-র
এদিনও শ্বেতার নৈহাটির বিজয়নগরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় দরজা-জানলা বন্ধ। প্রথমে নীচে এসে কথা বলতে না চাইলেও পরে ফের বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শ্বেতার বাবা। তিনি জানান, তাঁর মেয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ, তাঁর চাকরির সমস্ত নথি তাঁদের কাছে আছে। এত বড় দুর্নীতি করার মতো মানসিক পরিপক্কতা তাঁর মেয়ের নেই বলেই শ্বেতার বাবার দাবি।
advertisement
এরপরেই তাঁর বক্তব্য, "সঠিক তদন্ত হোক। মহামান্য আদালত যা নির্দেশ দেবেন তাই করব। শ্বেতা যদি কোনও অন্যায় করে থাকে, যদি অপরাধী হয়, তাহলে অপরাধের যা শাস্তি হবে মাথা পেতে নেবে। ও এরকম করতেই পারে না, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।" অরুণ জানিয়েছেন, যদি তাঁর মেয়েকে তলব করা হয়, তাহলে সে নিশ্চই যাবে এবং তদন্তে সহযোগিতা করবে।
এদিকে, এদিন শ্বেতার নৈহাটির বাড়ির সামনে তাঁর দাদাও কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সেই সময় তিনি ও তাঁর স্ত্রী, অর্থাৎ, শ্বেতার বৌদি, কাজে বেরচ্ছিলেন। সেই সময় শ্বেতার দাদা সাংবাদিকদের জানান, আপাতত, তাঁর বোন আইনজীবীর পরামর্শ নিয়েছেন। শ্বেতার আইনজীবী, শ্বেতাকে সাংবাদিকদের সামনে কোনও কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই কারণেই আপাতত হয়ত শ্বেতা সর্বসমক্ষে আসছেন না। তবে এর পাশাপাশি, শ্বেতার দাদার এ-ও দাবি, যদি তাঁর বোন দোষ করে থাকেন, তার বিচার আদালত করবে।
ছোট থেকেই মেধাবী। পড়াশোনায় ভাল ছাত্রী হিসাবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন শ্বেতা। পাশ করেছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংও। সেই সূত্রেই কামারহাটি পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে চাকরি বলে দাবি পরিবারের। তবে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রোমোটার অয়ন শীলের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা সামনে আসার পর থেকেই তাঁর চাকরি নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, অয়নের ফ্ল্যাট থেকে রাজ্যের পুরসভাগুলির নিয়োগের আসল ওএমআর শিট মিলেছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, পুরসভার চাকরির ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হওয়া অদ্ভুত কিছু নয়। তবে, গোয়েন্দাদের সামনে অয়ন জানিয়েছিলেন, তাঁর সংস্থা পুরসভার পরীক্ষার ওমএমআর শিটের বরাত পায়, সেই কারণেই তাঁর ফ্ল্যাটে ওই omr শিটগুলি ছিল।
Arun Ghosh