অচিন্ত্য ধারা, বর্তমানে তাঁর পরিচয় ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থী। চাকরির দাবি নিয়ে ময়দান এলাকায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি নীচে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে ধর্নায় ছিলেন অচিন্ত্যও। তবে গত সোমবার থেকে প্রায় ৮৪ ঘণ্টা তাঁরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ দেখান করুণাময়ীর আচার্য প্রফল্লচন্দ্র ভবনের সামনে। আর সেখানেই সকাল থেকেই জন্মদিন কাটালেন অচিন্ত্য।
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের দাবি মানল না পর্ষদ, জারি হল প্রাথমিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি! আজ থেকেই আবেদন
চাকরির দাবিতে অনশনে অংশ নেওয়ায় জন্মদিনে জলটুকুও মুখে তোলেননি তিনি। অচিন্ত্যর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর তাঁর উপরে শুরু হয় অত্যাচার। গভীর রাতে আইনের কাগজ দেখিয়ে অন্যান্য চাকরী প্রার্থীদের মতো প্রিজন ভ্যানে টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’? সাইক্লোন নিয়ে সতর্ক রাজ্য
অচিন্ত্যর কথায়, এ রকম জন্মদিন যেন কারওর জীবনে যেন না আসে। তিনি জানান, 'ওই সময়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। যখন চোখ খুলি দেখলাম হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছি। তারপর আমার থেকে আমার মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ সব কিছু কেড়ে নেয় পুলিশ। এর পর, জেলে ঢুকিয়ে ক্রিমিনালদের সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য করা হয় আমাকে। খুব বাজে ব্যবহার করে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশের। এক ফোঁটা জলও আমাকে দেওয়া হয়নি। সংবাদ মাধ্যমে যখন খবর হল আমি নিখোঁজ, তখন থেকে খুব ভালো ব্যবহার। আমি বলব, পৃথিবীতে যেন এমন জন্মদিন আর কারওর না কাটে। জন্মদিন রীতিমতো দুর্বিষহ দিনে পরিণত হয়েছে।"
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুরা থানার অন্তর্গত সামসুন্দর রোডের পাটনা গ্রামে বাড়ি অচিন্ত্যর। তাঁর বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ মা ও বাবা। জন্মদিনে তাঁদের সঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা থাকলেও নিয়তির জেরে তাঁর বিশেষ এই দিন কাটল জেলের আসামীদের সঙ্গে। তবে ওই রাত থেকে আরও দৃঢ় তাঁর কণ্ঠস্বর। স্বচ্ছভাবে নিয়োগ না ফলে ফের ওই জায়গাতেই আন্দোলনে যাবেন বলেই জানান অচিন্ত্য ধারা।