প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, www.wbbprimaryeducation.org এই ওয়েবসাইট মারফত ইচ্ছুক প্রার্থীরা আবেদন পত্র তুলতে পারবেন এবং জমা দিতে পারবেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে প্রার্থীরা বাংলা, হিন্দি, উর্দু, নেপালি, সাঁওতালি, ওড়িয়া, তেলুগু ভাষার মধ্যে যে কোনও একটি ভাষা প্রথম ভাষা হিসাবে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি বাধ্যতামূলক। আগামী তিন সপ্তাহ চলবে এই আবেদন গ্রহণ। কারও পেমেন্টের সমস্যা হলে ফের দিন বাড়ানো হতে পারে।
advertisement
তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্শদে অনুযায়ী, বি.এড উত্তীর্ণরা এবছর প্রাথমিকের টেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। ইতিমধ্যেই বুধবার তা জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। কিন্তু, যাঁদের চার বছরের ব্যাচেলর অফ এলিমেন্টারি এডুকেশনের ডিগ্রি রয়েছেন, তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে ওয়েবসাইটে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মূলত, এনসিটিই এর গাইডলাইন মেনেই এই টেট নেওয়া হচ্ছে বলেই বুধবার জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তারমধ্যে ৬০ শতাংশ নম্বর পেলেই সেই প্রার্থীকে টেট উত্তীর্ণ বলা হবে। গতবারের মতো এবারও ওএমআর শিট ও প্রশ্নপত্রের বুকলেট বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা৷
গত বছর ডিসেম্বরেও প্রাথমিকের টেট নিয়েছিল পর্ষদ। তার ফলাফল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ করেছিল। এক বছরের মাথায় ফের টেট নিতে চলেছে পর্ষদ। তবে পরপর দু’বছর টেট হলেও নিয়োগ কোথায়? তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল। যদিও বুধবার পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত হবে টেট। গত বছর যে পদ্ধতিতে প্রাথমিকের টেট নেওয়া হয়েছিল একইভাবেই এবারেও প্রাথমিকের টেট নেওয়া হবে। ফ্রিস্কিং, বায়োমেট্রিক এর ব্যবহারের পাশাপাশি আরও কয়েক দফা নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হবে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে৷ তেমনটাই জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।