TRENDING:

গোপন চ্যাটে আসত জঙ্গি নির্দেশ, সেনা নিবাসেই চলত আল কায়দার বৈঠক!

Last Updated:

গোপন চ্যাটে আসত জঙ্গি নির্দেশ, সেনা নিবাসেই চলত আল কায়দার বৈঠক!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: আফগানিস্তান থেকে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে নির্দেশ দিত জঙ্গি জিয়া। নির্দেশ পড়েই তা মুছে ফেলত সামশাদ ও রিয়াজুলরা। সংগঠন বাড়ানোর পাশাপাশি, কীভাবে সাধারণ মানুষের ভেক ধরতে হবে, সে পরামর্শও দেওয়া হত। জঙ্গিদের সতর্কতা দেখে অবাক গোয়েন্দারা।
advertisement

উপমহাদেশে আল কায়দা মডিউলের কিংপিন মেজর জিয়াউল। সুদূর আফগানিস্তান থেকে কীভাবে উপমহাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত জিয়া? জঙ্গিদের সতর্কতার বহর ছিল দেখার মতো।

- এনক্রিপটেড চ্যাটের মাধ্যমে আনসারউল্লা বাংলা টিম ও আল কায়দার ক্যাডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত মেজর জিয়া

- বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্যে, সিকিওরড চ্যাটরুমে চলত যোগাযোগ

- উপরতলার নির্দেশ পাওয়ার পরই তা চ্যাট হিস্ট্রি থেকে মুছে দিত সামশাদ, রিয়াজুলরা

advertisement

- নির্দিষ্ট সময়ে চ্যাটে কোনও ক্যাডার উপস্থিত না থাকলে তাকে চিরতরে মুছে ফেলা হত

পুলিশ বা গোয়েন্দাদের সন্দেহ যাতে না পড়ে, সেজন্য কীভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে সে শিক্ষাও দিত জিয়া। ঠিক সেমনটা দেখা গিয়েছে মনতোষ ওরফে জিয়ারুল গাজির ক্ষেত্রে।

জিয়ার 'হিতোপদেশ'

- সাধারণ জীবনযাপন করতে বলা হত, যাতে কোনও অস্বাভাবিকতা না থাকে

advertisement

- সন্দেহ এড়াতে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার নির্দেশ

- প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহারের নির্দেশ

মেজর জিয়ার সঙ্গে ঢাকায় মুখোমুখি দেখাও হয় সামশাদের। এক মাস আগে বাংলাদেশে এসেছিল প্রাক্তন সেনাকর্মী জিয়াউল হক ৷ ঢাকার মিরপুরে সেনানিবাসে বসেই বৈঠক করে আনসারউল্লা বাংলা ও আল কায়দার সদস্যরা ৷ বাংলাদেশের উত্তর অংশে সংগঠন বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ জঙ্গিদের টার্গেট ছিল ওই এলাকার মুক্তমনা ও ব্লগাররা ৷ মেজর জিয়ার সাঙ্গপাঙ্গদের জেরা করে আরও সূত্র হাতে পেতে চান গোয়েন্দারা।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
গোপন চ্যাটে আসত জঙ্গি নির্দেশ, সেনা নিবাসেই চলত আল কায়দার বৈঠক!