TRENDING:

ওভারলোডেড ট্রাক বন্ধ করার দায়িত্ব কার ? তা নিয়ে চাপানউতোর  

Last Updated:

কোথাও খানা খন্দ এতটাই, যে রাস্তা একটা পুকুরের চেহারা নিয়েছে। আর ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, রাস্তা খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ ওভারলোডেড গাড়ির চাপ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বিভিন্ন রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা খারাপের জন্যে দায়ি করছেন ওভারলোডিংকে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা মোড় এই ওভারলোডিংয়ের জেরে যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে রাজ্যের পূর্ত দফতরের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। ওভারলোডিং বন্ধ করে যাতে দ্রুত রাস্তার হাল ফেরানো যায় তা দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন।রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য সড়ক হোক বা জাতীয় সড়ক। রাস্তার হাল বেহাল। কোথাও খানা খন্দ এতটাই, যে রাস্তা একটা পুকুরের চেহারা নিয়েছে। আর ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, রাস্তা খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ ওভারলোডেড গাড়ির চাপ।
advertisement

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করছেন, তারা একাধিকবার এই ওভারলোডিং নিয়ে সরব হয়েছেন। পুলিশ ও মোটর ভেহিক্যালস বিভাগকে জানিয়েছেন, যদিও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে রাস্তা যথাযথ ভাবে রাখা একটা মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে তাদের কাছে। ওভারলোডিং করছে লরি, এই অভিযোগ বহুদিনের। ওভারলোডিং যে তারা করছে সেই অভিযোগ মেনে নিচ্ছেন ট্রাক মালিকরা। তাদের বক্তব্য, ক্রমশ জ্বালানির মুল্যবৃদ্ধি ও পুলিশি জুলুমের কারণেই তাদের ওভারলোড লরি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তার জন্যে যে রাস্তা খারাপ হচ্ছে সেটাও মেনে নিচ্ছেন তারা। কোন গাড়ি কত টনের পণ্য নিতে পারবে তা মোটর ভেহিক্যালস বিভাগের নিয়মে বলা আছে। নিয়মানুযায়ী ৬ চাকার লরি ৯ টনের মাল বহন করতে পারবে। ১০ চাকার লরি ১৬ টনের মাল বহন করতে পারবে। ১২ চাকার লরি ২১ টন মাল বহন করতে পারবে। ১৪ চাকার লরি ২৫-৩০ টন মাল বহন করতে পারবে। যদিও এর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ পণ্য পরিবহণ করছেন তারা। এমনটাই জানাচ্ছেন ট্রাক মালিকরা।

advertisement

দীর্ঘ দিন ধরে ট্রাক ব্যবসার সাথে যুক্ত নওল শর্মা জানাচ্ছেন, "হ্যাঁ ওভারলোডেড ট্রাক নিয়ে যাতায়াত করা হচ্ছে। কারণ একটা পণ্য নিয়ে আসতে গেলে রাস্তায় একাধিকবার আমাদের পুলিশি জুলুমের শিকার হতে হচ্ছে। নিয়ম মেনে গাড়ি চালিয়েও আমাদের হেনস্থা করছে। তাই বাধ্য হয়েই ট্রাক ওভারলোড হচ্ছে।" ওভারলোড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছে ট্রাক মালিকদের সংগঠন। তাদের সভাপতি সুভাষ বোস জানাচ্ছেন, " ওভারলোড ও পুলিশি জুলুম নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন মহলে আমরা চিঠি দিয়ে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। পুলিশকে বললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। শুধু বলে ওপরতলার নির্দেশ আছে।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটাতে চাষিদের পাশে দুর্গাপুরের সিএমইআরআই কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা
আরও দেখুন

একদিকে রাস্তা খারাপ, অন্যদিকে পুলিশি জুলুম। এই দুইয়ের কারণে চরম সমস্যায় পড়েছেন ট্রাক মালিকরা। অভিযোগ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে, পুরাতন দিল্লি রোড,  যশোর রোডের অবস্থা এতটাই খারাপ যে প্রতিদিন তাদের গাড়ির যন্ত্রাংশ খারাপ হচ্ছে। যদিও রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, লরি ওভারলোডেড কিনা তা দেখার দায়িত্ব এম ভি আই'য়ের।  তাদেরকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা জুলুমের অভিযোগ অস্বীকার করছেন তারা। রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, "মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে কাজ শুরু করব আমরা৷ আমার দফতর সমস্ত রাস্তা কতটা ওজন বহনে সক্ষম, কত টনের গাড়ি যেতে পারে তা দেখবে। শীঘ্রই এই সংক্রান্ত তালিকা আমরা বানিয়ে ফেলব।" কিন্তু এত কিছুর পরেও প্রশ্ন আদৌ ওভারলোডিং বন্ধ হবে তো৷ প্রশ্ন তুলছেন খোদ লরি চালক ও মালিকরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
ওভারলোডেড ট্রাক বন্ধ করার দায়িত্ব কার ? তা নিয়ে চাপানউতোর  
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল