শেষ ধাপের কাজ চলছে বউবাজারে। আর যাতে ক্রস প্যাসেজ বানাতে গিয়ে ধস না নামে ওয়েলিংটন সন্নিহিত এলাকায়, তাই এই বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার। জামশেদপুর থেকে আসবে এই তরল নাইট্রোজেন। বউবাজার থেকে নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট অবধি করা হবে একাধিক গর্ত। ছয় মিটার ব্যাসের গর্ত দিয়ে পাঠানো হবে একাধিক পাইপ। তাতেই যাবে তরল নাইট্রোজেন।এক একটি গর্তে আট থেকে দশটি করে পাইপ থাকবে। মাটির ১৬ মিটার নীচে যাবে এই সব পাইপ। পাইপ ঘিরে এক মিটার জায়গার ভূ-গর্ভস্থ জল বরফে পরিণত হবে। চলতি মাসের শেষ থেকে এই কাজ শুরু করতে চায় KMRCL, কাজ শেষ হতে সময় লাগবে চার মাসের কাছাকাছি।
advertisement
এই প্রযুক্তিতে বউবাজারের বিপদ এড়ানো যাবে বলে মনে করছেন ইঞ্জিনিয়াররা। সৈয়দ মহম্মদ জামিল হুসেন, ডাইরেক্টর প্রজেক্ট , কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে করপোরেশন লিমিটেড জানিয়েছেন, এই যে নয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তা বিশ্বের একাধিক উন্নতশীল দেশ নানা সময় ব্যবহার করেছে৷ বিশেষ করে ২০২০ সালে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল বাংলাদেশ৷ একটি জাতীয় সড়কের কাজের সময় এটি তারা ব্যবহার করেছিল।
সূত্রে খবর, নরওয়ের একটি সংস্থা জিও ফ্রস্ট এই কাজটি করবে৷ তাদের তরফে বিজ্ঞানী অ্যানে নিজে আসছেন কলকাতায় আগামী ১৮ তারিখ৷ তিনিই এই গোটা কাজ তদারকি করবেন৷ তবে এই কাজ করার জন্য পুলিশের অনুমোদন প্রয়োজন৷ কারণ যেখান থেকে এই তরল নাইট্রোজেন পাঠানো হবে, সেখানে ট্যাঙ্কার রাখার জন্য পার্কিং প্রয়োজন৷ তাই এই রাস্তা বন্ধ করে কাজ করা নিয়ে অনুমতি চাই৷ পুজোর আগে রাস্তা বন্ধ করা কতটা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা চলছে৷