তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন পিকের টিম আইপ্যাকের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস। মামলায় মহামারী আইন ভাঙতে পারেন এই যুক্তিতে জামিন দেওয়ার বিরোধিতা করেন সরকারি পক্ষের উকিল। যদিও সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। আইনজীবীর দায়িত্ব নেওয়া ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা পীযুষ বিশ্বাস স্পষ্টই জানান, "গৃহবন্দী করে অনর্থক হয়রানি করা হচ্ছিল এই প্রতিনিধি দলটিকে।"
advertisement
একইসঙ্গে পীযুষ বিশ্বাস এদিন বলেন, আইপ্যাক এর আগে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কাজ করেছে। পঞ্জাবে কংগ্রেসের সঙ্গেও সুনামেরে সঙ্গে কাজ করছে এই সংস্থা। আমি কেবলমাত্র আমার দায়িত্ব পালন করেছি পেশায় আইনজীবী হিসেবে। আমি এখানে কংগ্রেস নেতা হয়ে আসিনি। ওরা কাজ করতে এসেছিল। ওদের অকারণ হয়রানি করা হয়েছে। তাই এই মামলার দায়িত্ব নিয়েছি।"
প্রসঙ্গত, আগরতলার (agartala) একটি হোটেলে বন্দি করে রাখা হয় প্রশান্ত কিশোরের (prashant kishor) আইপ্যাক (ipac) টিমের ২৩ সদস্যকে। গতকালই তাঁদের উদ্ধারে এই রাজ্য থেকে দুই মন্ত্রী এবং এক প্রাক্তন সাংসদকে সেখানে পাঠানো হয়। যদিও সেখানকার বিজেপি (bjp) সরকারের দাবি ছিল, করোনা পরীক্ষার কারণেই তাদের বেরোতে দেওয়া হয়নি। মহামারী ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই 'আগাম' পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করা হয়। বুধবারই আগরতলা পৌঁছে এই নিয়ে জোরালো সওয়াল করেন তৃণমূলের মন্ত্রী ও বিধায়করা। গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ তোলেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
এরইমধ্যে আজ আগরতলায় রয়েছে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। বৈঠকে যোগ দিতে পৌঁছেছেন ডেরেক ও ব্রায়ান, কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তবে এই মিটিং নিয়েও শুরু হয়েছে প্রশাসনিক জটিলতা। জেলাশাসকের অনুমতি নেই বলে বৈঠক না করার আর্জি জানিয়েছে পুলিশ। সবমিলিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপির বিপ্লব দেব সরকার ও তৃণমূলের মধ্যে চাপান উতোর তুঙ্গে। একদিকে রাজধানী দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক বিজেপি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অন্যদিকে ত্রিপুরা তৃণমূলের জমি শক্ত হওয়া নিয়ে কার্যত অস্বস্তিতে বিজেপি।