জমায়েত শুরু হয়েছে সল্টলেকের করুণামী চত্বরে। সেখান থেকেই পদযাত্রা করে পৌঁছনোর পরিকল্পনা এসএসসি ভবনের সামনে। ইতিমধ্যেই সেখানে এসে গিয়েছে মিছিল। পথ চলতি মানুষজন কেউ কেউ আবার সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এক ব্যক্তি দেখা গিয়েছে, চাকরিহারাদের চকলেট দিচ্ছেন।
কানে জমে আছে হলুদ ‘ময়লা’? খোঁচাবেন না…! এই ৫ ঘরোয়া উপায়ে চুম্বকের মতো বেরিয়ে আসবে ‘ইয়ার ওয়াক্স’!
advertisement
দাবি একটাই—চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। না হলে তারা রাজপথ ছাড়বেন না। কেউ কেউ মাইক হাতে জানাচ্ছেন নিজেদের অবস্থান, স্লোগানে মুখর রাজপথ। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, “দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ছি না।”
গত বৃহস্পতিবার নিউজ১৮ বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ আজ, শুক্রবার চাকরিহারা শিক্ষকশিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে চলেছে এসএসসি। তার আগে চাকরিহারাদের থেকে তাঁদের বক্তব্য শুনবে রাজ্য।
যা শখ আছে মিটিয়ে নিন! আর ৫ বছর পর ‘মানবজাতি’ নাও থাকতে পারে! গুগলের AGI যা বলছে…শিউরে উঠবেন!
জানা গিয়েছে, চাকরিহারাদের তরফেও নির্দিষ্ট দাবিদাওয়া জানানো হবে শিক্ষামন্ত্রীকে। তাঁর কাছে কসবার ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের দাবিও রাখবেন চাকরিহারারা। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিল হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করেছে সেই তথ্যও চাকরিহারাদের সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে। আজ দুটো থেকে বিকাশ ভবনে শুরু হবে বৈঠক।
চরম সতর্ক বিধাননগর পুলিশ। সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এড়াতে সল্টলেক এলাকাজুড়ে মোতায়ন করা হয়েছে প্রায় ১২০০ পুলিশকর্মী। বাড়তি ফোর্স আনা হয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং বারুইপুর পুলিশ ডিভিশন থেকেও। গোটা এলাকায় রয়েছে বাড়তি নজরদারি।
১২ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক, ২২ জন এসিপি এবং একাধিক ইন্সপেক্টর গোটা জমায়েতকে ভাগ করে পর্যবেক্ষণ করছেন। মোতায়ন রয়েছে RAF, কাঁদানে গ্যাস ও মহিলা পুলিশ। পুলিশের একাংশ ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে, যাতে কোনও বহিরাগত মিছিলে ঢুকে উত্তেজনা ছড়াতে না পারে।
র্যাফ সহ পুলিশবাহিনী নিয়ে রয়েছেন ডিসি অনিশ সরকার নিজেও। তাঁর নেতৃত্বে মোতায়ন রয়েছে একাধিক বাহিনী। পুলিশের অনুমান, প্রায় আট হাজার মানুষ এই জমায়েতে অংশ নিতে পারেন। মেট্রো স্টেশনগুলোতেও রাখা হয়েছে কড়া নজর।
একদিকে যখন স্লোগানে কাঁপছে এসএসসি ভবন চত্বর, অন্যদিকে প্রশাসন নজর রাখছে যেন কোনওরকম বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি না হয়।