ঠিক কী হয়েছে পাঠভবন স্কুলে? জানালেন এই প্রতিষ্ঠানের ৩০ বছরের ইতিহাসের শিক্ষক উর্মি চৌধুরী। তাঁর কথায়, '' পাঠভবন আংশিক সরকারি স্কুল, আংশিক ডিএ ভুক্ত। স্কুল চালায় ম্যানেজিং কমিটি, যেখানে ৬ জন জিআর বা গার্জেন রিপ্রেজেন্টেটিভ (অভিভাবকদের প্রতিনিধি) থাকেন, আর থাকেন ৩ জন শিক্ষকদের প্রতিনিধি। প্রত্যেকেই নির্বাচিত। ১১ সেপ্টেম্বর একটি নির্বাচন হয়, তাতে গার্জেনস ফোরাম জিতেছিল। ইতিমধ্যে যেটা হল, ১৬ অক্টোবর ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর অব স্কুল (সেকেন্ডারি এডুকেশন)-এর তরফ থেকে স্কুলে একটি মেল করা হয়। সেই মেলটি কেউ খোলেনি। সেই মেলে বলা হয়, এই ইলেকশনটি অবৈধ। ফলে, ডিআই স্কুলে ড্র অ্যান্ড ডিসবার্সমেন্ট অফিসার (ডিডিও) পাঠাবে। ডিডিও মূলত অর্থনৈতিক দায়িত্বে থাকবেন। তিনি এবং টিআইসি (টিচার ইন চার্জ) মিলে বেতন দেবে। এরজন্য, টিআইসি-কে ডিডিও-কে চিঠি দিতে হবে।''
advertisement
উর্মি চৌধুরীর অভিযোগ, '' টিআইসি শুভা গুপ্ত ডিডিও-কে চিঠি দেননি। এবার গার্জেন রিপ্রেজেন্টেটিভ-রা মামলা করেছে ডিআই-এর বিরুদ্ধে, সঙ্গে aparty রেখেছে শুভা গুপ্তকে। এটা কখনও হতে পারে না। মামলায় বলা হয়েছে, টিআইসি যেন ডিডিও-কে গ্রহণ না করে।''
উর্মি আরও জানান, '' আমরা সব শিক্ষকেরা মিলে ডিআই-এর সঙ্গে দেখা করে চিঠি দিয়েছি। তিনি আস্বস্ত করেছেন, আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেতনের ব্যবস্থাও করবেন। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় ২জন সিগনেটরি লাগে। একজন টিআইসি ও আরেকজন ডিডিও। এদিকে টিআইসি রাজি হচ্ছেন না। ফলে পুরো সিস্টেমটাই থমকে আছে।''
এখানেই শেষ নয়, শিক্ষকদের অভিযোগ, স্কুলের বিদ্যুৎ বিল, ফোনের বিল, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশন-ফি কে মেটাবেন, তাও জানা নেই । কর্তৃপক্ষ বলছে, সেগুলি ডিসবার্স করার কেউ নেই।
সামনেই পরীক্ষা, বাকি পড়ে সিলেবাস, এরমধ্যেই স্কুলে এহেন 'অচলাবস্থা'! পড়ুয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না তো? উত্তরে উর্মি আস্বস্ত করেন, শিক্ষকদের এই প্রতিবাদে স্কুলের পঠনপাঠনে কোনও সমস্যা হচ্ছে না বা আগামিদিনেও হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সিলেবাস শেষ করে দেওয়া হবে।