দ্বাদশ পর্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ইন্টারভিউ নেওয়া হবে ২২, ২৩ ও ২৪ শে মে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়া। আর তার সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগের সময়সীমা কার্যত অনেকটাই পিছিয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে ১২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হবে। কিন্তু ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চলার মনে করা হচ্ছে জুন মাসের আগে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ। সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকা প্রকাশ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভাল নেই অনুব্রত মণ্ডল! আদালতের বাইরে যা জানালেন, দুশ্চিন্তা বাড়ল কয়েকগুণ
যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করে দিতে চেয়েছিল পর্ষদ প্রথম দিকে। তবে কি কারণে এতটা সময়সীমায় পিছিয়ে দেওয়া হলো তা এখনো স্পষ্ট নয়।পর্ষদ সূত্রে খবর কিছু প্রযুক্তিগত কারণেই এই সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলছে। এখনও পর্যন্ত একাধিক জেলার আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নেওয়া হয়ে গেছে। নবম পর্যায় ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া কার্যতো শেষের দিকে। যদিও গড়ে ১০ শতাংশ প্রার্থী প্রত্যেকটি ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াতেই অনুপস্থিত থাকতে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর কোটায় ডাক্তারি পড়া, বামেদের বিরুদ্ধে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের! বিষয় কী?
এ বারেই প্রথম কেন্দ্রীয়ভাবে ইন্টারভিউ নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষকরা নম্বর ল্যাপটপের মাধ্যমে দেবেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সরাসরি আবেদনকারীদের প্রাপ্ত নম্বর পর্ষদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে চলে যাবে। পরবর্তীকালে সেই নম্বর সংশোধন বা বদলে কোন সুযোগ থাকবে না বলেই দাবি পর্ষদের আধিকারিকদের। সবমিলিয়ে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ইন্টারভিউ শুরু হলেও সেই নিয়োগের সময়সীমা কার্যত পিছিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।