এবার তা নিয়েই ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত জন ইন্ডিকট এবং ঘাই ক্রিস্টোফার ব্রিজ, দুই বিদেশির হাতেই বউবাজারের ভাগ্য। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে বলতে গেলে পুরো ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের ভাগ্যই এখন তাঁদের দুজনের হাতে।
'চান্ডি' ছিলেন আইটিডি-সিইএম সংস্থার একজন উচ্চ পদস্থ আধিকারিক। ৪০ বছর বয়সে তিনি চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাস নেন। একইসঙ্গে সুড়ঙ্গ খননের কাজ যেহেতু চলছে, তাই মা চন্ডীর নাম করে শুরু হয়েছিল কাজ। তাই টিবিএম 'চান্ডি' বা 'চন্ডী' সংস্থার কাছে ছিল অত্যন্ত প্রিয়। সেই টানেল বোরিং মেশিন সুড়ঙ্গ জুড়ে আটকে থাকায় বেশ দুঃখিত তারা। এই 'চান্ডি' বা 'চন্ডী'কে তুলতে ইতিমধ্যেই একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।
advertisement
জানা গিয়েছে, প্রথমে ৫০ মিটার দীর্ঘ, ৫০ মিটার প্রশস্ত ও ২৫ মিটার গভীর একটি শ্যাফট তৈরি করা হবে। সেখান থেকেই টানেল বোরিং মেশিন কেটে কেটে তুলে ফেলা হবে। অন্যদিকে, টিবিএম 'ঊর্বী' শিয়ালদহ স্টেশনের কাজ শেষ করার পরে, সেটাকেই তুলে ফেলে ফের বউবাজারের ওই অংশে কাজ করা হবে। আর এই গোটা কাজটাই তদারকি করছেন জন ইন্ডিকট ও ঘাই ক্রিস্টোফার ব্রিজ।
অন্যদিকে, শনিবার থেকেই দিনরাত সুড়ঙ্গ জুড়ে টানেল বোরিং মেশিনের উপর নজরদারি চালাচ্ছেন টিবিএম প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রতিনিধিরা। টিবিএম থেকে পাওয়া তথ্য, জিপিএস মারফত পৌঁছে যাচ্ছে কন্ট্রোলরুমে। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এছাড়া, টিবিএমে বসানো নতুন সেন্সর থেকেও নানা প্যারামিটার পাচ্ছেন তাঁরা। যে কোনও ধরনের অস্বাভাবিকতা যাতে চোখ এড়িয়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। বদলে ফেলা হয়েছে পুরনো আধিকারিকদের দায়িত্ব। আপাতত ২৫ জনের নতুন দল নিয়ে বউবাজারের রক্ষাকবচ জন ইন্ডিকট ও ঘাই ক্রিস্টোফার ব্রিজ।
সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ স্টেশনের ভিতরের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে টাইলস বসানোর কাজ। চলছে সিগন্যালিং এবং টেলিকমিউনিকেশনের কাজ। ইতিমধ্যেই সমস্ত মেশিন চলে এসেছে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনে। দফতর সূত্রে খবর, আগামী ডিসেম্বর যাতে শিয়ালদহ ও সল্টলেকের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা চালু করা যায়, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। ফুলবাগানের পর, শিয়ালদহ অবধি মেট্রো আসলে যাত্রী পরিষেবা থেকে লাভজনক আয় মিলবে বলে মনে করছে রেল।