মুকুল তৃণমূলে চলে যাওয়ায় বন্ধুবিচ্ছেদে মন খারাপ হচ্ছে কৈলাসের, তাই তাঁকে যেন তৃণমূলে নিয়ে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, এমনই একটি ট্যুইট রিট্যুইট করেছেন তথাগত। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুধু রিট্যুইট করেননি তিনি, বাংলায় লেখা ট্যুইটটির আক্ষরিক ইংরেজি অনুবাদও করেছেন। ট্যুইটের সারবত্তা হল, মুকুল এবং কৈলাস সব সময়েই নিজেদের মধ্যে ‘গুজ-গুজ’, ‘ফিস-ফিস’ করতেন। তাই মুকুল রায় তৃণমূলের ফিরে যাওয়ায় কৈলাস এখন ‘হতাশ’। মমতার কাছে তাই অনুরোধ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও দলে নিয়ে নিক তৃণমূল।
advertisement
এর আগে মুকুল রায় দল ছাড়ার পরপরই ট্যুইট করে তথাগত রায় লিখেছিলেন, 'তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা যে সব নেতা আবার তৃণমূলে ফিরে গেছেন তাঁদের সম্বন্ধে আমি প্রয়াত সিপিএম নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের একটি মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করছি। মল মূত্র ত্যাগ করলে মানুষ দুর্বল হয় না, সবলই হয়।'
তথাগত অবশ্য এমনই। রাজ্যপাল পদে মেয়াদ ফুরোনোর পর থেকেই ফের মূল স্রোতের রাজনীতিতে ফিরতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু বিজেপির রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, কোন তরফ থেকেই তেমন সাড়া পাননি তিনি। এমনকী সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে কলকাতার একটি কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতেও চেয়েছিলেন তথাগত। কিন্তু তা পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। তারপর থেকেই দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননদের তীব্র বিরোধী তিনি। আর এ রাজ্যে ভোটে হারার পর তথাগতর সেই আক্রমণ লাগামছাড়াভাবে বেড়ে গিয়েছে।
গত ৬ মে তথাগত প্রথমবার এই নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি ট্যুইটারে লিখেছিলেন, দিলীপ-কৈলাসরা প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছেন। সেবারও তিনি ওই চার জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। তথাগত লেখেন , "কৈলাস, দিলীপ, প্রকাশ, অরবিন্দ এই চারমাথা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলের নাম খারাপ করেছে। হেস্টিংসের শীর্ষে এবং সাততারা হোটেলে বসে তারা তৃণমূলের আবর্জনাদের টিকিট বাঁটোয়ারা করেছেন। এখন দলীয় কর্মীদের থেকে বাঁচতে তাঁরা সেখানেই বসে আছেন, ভাবছেন এই ঝড় চলে যাবে।"