ফেসবুকে তসলিমা লিখেছেন, ‘দিলীপ কুমারের সম্মানে তাঁর একটি ছবি দেখার ইচ্ছে হলো, কোনটা দেখবো কোনটা দেখবো ভাবতে ভাবতেই স্থির করলাম দেবদাস দেখবো। দেখা- ছবিই আবার দেখবো, যেমন পড়া- বই আবার পড়তাম।’ এরপরই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ উপন্যাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নিজের কিশোরীবেলার স্মৃতিও শেয়ার করেছেন তসলিমা। লেখিকা জানিয়েছেন, ‘দেবদাস শব্দটি উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই আমি চলে যাই আমার বারো তেরো বছর বয়সে। কতবার যে তখন দেবদাস পড়েছি, কতবার যে পড়তে পড়তে সারারাত পার করেছি, কতবার যে কেঁদে কেঁদে বালিশ ভিজিয়েছি, তার সংখ্যা আমার জানা নেই।’
advertisement
তসলিমা জানিয়েছেন, ছোট থেকে বই পড়ার নেশা ছিল তাঁর। বাছ-বিচার ছিল না। বরং যা পেতেন তাই পড়তেন। তাঁর দাদাও তাঁকে প্রথিতযশা লেখকদের বিখ্যাত সব উপহার দিতেন সেই সময়। আর কিশোরীবেলার অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে ‘দেবদাস’ যে বড় পছন্দের ছিল, সেকথা প্রমাণিত হয়েছে তসলিমার ফেসবুক পোস্টের লেখাতেই। লেখিকা লিখেছেন, ‘দেবদাস ছবিটি যারা দেখেছে, যারা বইটি পড়েনি, তাঁদের জন্য আমি গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলি। কৈশোরে বা কৈশোরোত্তীর্ণ বয়সে যারা রাতে রাতে দেবদাস পড়ে কেঁদে বুক ভাসায়নি, তারা কী বুঝবে দেবদাসের! এখন না হয় দেবদাসকে মনে হয় ”চিক ফ্লিক”। কিন্তু তখন?’
তসলিমা নাসরিনের এই ফেসবুক পোস্টেই একজন কমেন্ট করে লেখেন, ‘আমি শাহরুখের দেবদাস দেখেছি। আগে বইটা পড়েছি। দুটোই কালোত্তীর্ণ সেরা।’ এর জবাবেই সাহিত্যিক বলেন, ‘এতকাল যত দেবদাস ছবি হয়েছে, সবচেয়ে খারাপ শাহরুখেরটা।’ পরে আরও এক কমেন্টের জবাবে তসলিমা লিখেছেন, ‘শাহরুখ খানের ওভার আক্টিং খুব হাস্যকর। তবে আমির খানের অভিনয় ভাল।’ ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন লেখিকার। অনেকে আবার ভিন্নমত পোষণ করেছেন।