সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা উত্তর নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি কাটছে না৷ আগেই সুদীপকে প্রার্থী করা নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন কুণাল ঘোষ এবং তাপস রায়৷ সুদীপকে প্রার্থী করা হলে তিনি প্রচারে নামবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক৷
আরও পড়ুন: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কি বিজেপিতে? প্রার্থী হবেন? শুভেন্দুর ৭ মার্চ নিয়ে জল্পনা
advertisement
সূত্রের খবর, তাপস রায় তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভার প্রস্তুতির কোনও দায়িত্বই নিতে পারবেন না তিনি৷ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তিনি কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে সেই বার্তাই ফের পৌঁছে দিলেন তাপস৷ জানুয়ারি মাসে বাড়িতে ইডি হানার পর থেকেই তাপস রায় দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন বলে খবর৷ এমন কি, গত ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তিনি নিজের কেন্দ্র বরানগরেও যাননি বলে তৃণমূল সূত্রে খবর৷
ব্রিগেডে যোগ দেওয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে যে কর্মীরা আসবেন, তাঁদের একটা বড় অংশকে রাখা হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম এবং ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে৷ এই কর্মীদেরই দেখভালের দায়িত্বে দলের যে নেতাদের উপর ছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তাপস রায়৷ যদিও তিনি এবার সেই দায়িত্ব পালন করতে অপারক বলে দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন তাপস৷
এর আগেই তাপস রায় জানিয়ে দিয়েছিলে্ন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূল যদি ফের কলকাতা উত্তর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে দল, তাহলে তিনি প্রচারেই নামবেন না৷ এমন কি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করলেও তিনি নিজের সিদ্ধান্ত বদলাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক৷
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে প্রথমে সরব হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ৷ কুণাল অবশ্য জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত সুদীপকে দল প্রার্থী করলে তিনি প্রচারে অংশ নেবেন৷ যদিও বিকল্প হিসেবে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে শশী পাঁজার মতো কাউকে প্রার্থী করার দাবি তুলেছিলেন কুণাল৷ মুখপাত্রের পদ থেকে কুণালের ইস্তফাও গ্রহণ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷
তবে তাপস রায় শেষ পর্যন্ত যদি তৃণমূল না ছাড়েন, সেক্ষেত্রে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে কল্যাণ চৌবের নামও বিজেপির অন্দরে ঘোরাফেরা করছে৷