সোমবার তৃণমূল ছাড়ার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছিলেন তাপস। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পাশাপাশি বরানগরের বিধায়কের পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তাপস রায়৷ তার পরই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তাপস রায় অভিযোগ করেন, গত ১২ জানুয়ারি ইডি তাঁর বাড়িতে হানা দেওয়ার পরেও দলীয় নেতৃত্ব অথবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এবং তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াননি৷ এমন কি, তাপসের গুরুতর অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে ইডি হানার পিছনেও রয়েছে দলেরই একাংশ৷ তাপসের দলত্যাগের প্রসঙ্গে আরও একটি নাম উঠে এসেছে। তিনি কলকাতা উত্তরের বিধায়ক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটে কলকাতা উত্তরে সুদীপ-তাপসকে কি মুখোমুখি লড়তে দেখবে বাংলা? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।
advertisement
তাপস রায়ের বিজেপিতে যোগদানের পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তাপস রায়ের কাছে রাজনৈতিক ভাবে আমরা শিশু। স্বচ্ছ রাজনীতি যারা করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম তাপসদা।’
এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মোদিজির সফল অনুষ্ঠানের পর এখানে আমরা একত্রিত হয়েছি। তাপসদার সঙ্গে কয়েক দশকের সম্পর্ক। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে ওঁর প্রচুর অভিজ্ঞতা। দমদম ব্যরাকপুরের সাংগঠনিক নেতা ছিলেন। আমাদের প্রবীন নেতৃত্ব প্রয়োজন ছিল, তাপসদা সেটা মেটাবেন বলে আশা রাখি।’