ফের একবার মুখ খুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী৷ তাপস রায়ের অভিযোগ, দলের মধ্যেই একাংশ অন্য দল এবং একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন৷ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহানুভবতার সুযাগ নিয়ে অনেকেই দলের ক্ষতি করছেন৷ তাঁদের চিহ্নিত কর প্রয়োজন বলে দাবি তাপস রায়ের৷
তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'এই মুহূর্তে আমাদের দলের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত চলছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। দিদির মহানুভবতার সুযোগ নিয়ে অনেকে ক্ষতি করেছে। দলে ডিভাইডেড লয়ালিস্ট আর ডেডেকিটেড লয়ালিস্ট আছে৷ ডেডিকেটেড লয়ালিস্টদের সামনে আনতে হবে। তাদের সিক্রেট কথাবার্তায় রাখতে হবে। না হলে দল নানা অসুবিধা ফেস করবে। এটা আমার এতদিনের রাজনৈতিক মহল দেখে মনে হয়েছে।'
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বামেরা এ বার মমতাদির নেতৃত্বে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে’, কী কারণে এই মন্তব্য কুণাল ঘোষের
দলের কয়েকজনের আচরণে প্রবল ক্ষুব্ধ তাপস রায় নাম না করেই বলেন, 'অনেকে একাধিক জনের বা দলের সাথে সম্পর্ক রাখেন। এটা দলের দেখা উচিত। সেভাবেই এগোতে হবে। কোটি কোটি উগ্র সমর্থক আমাদের। কয়েকটা মানুষ নিজেদের স্বার্থে দলকে ব্যবহার করছে। এদের নাম প্রয়োজনে সামনে আসবে। এরা দলের বোঝা, এরা অ্যাসেট নয়। দলের কর্মী, নেতারা সেটা জানেন।'
গতকালই বিজেপি-র উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তমোঘ্ন ঘোষকে৷ তরুণ এই নেতা এক সময় তৃণমূলে ছিলেন৷ তিনি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ঘনিষ্ঠ৷ তমোঘ্নর উদাহরণ দিয়েই এ দিন কার্যত সুদীপের দিকেই আঙুল তুলেছেন তাপস৷ কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, 'পড়ল কথা সবার মাঝে, যার কথা তার গায়ে বাজে। তমোঘ্নকে দিদিমণির সামনে নিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। ছাত্র পরিষদের জন্য৷ ওর বাবা তপন ঘোষ সাংসদের সচিব। কে যে কার ব্যক্তি স্বার্থে কী করেন, সেটা দেখার। সবাই সব জানে। তমোঘ্নদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়, সেখানে শুভেন্দু-সুদীপ-কল্যাণ চৌবে গিয়েছিলেন। সবাই সব খোঁজ রাখেন। দলকে এখন দেখতে হবে, কাদের কাদের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমি ৫১ বছর ধরে রাজনীতিতে আছি। আমি অনেক কিছুই জানি৷ আমি কিন্তু চিনতে পেরেছি, চিহ্নিত করেছি।'