রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্যের তদন্ত সংস্থাগুলির ওপর নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের রক্ষা করার জন্য চাপ থাকতে পারে। এই অবস্থায় পরিবার ও জনস্বার্থে সুবিচারের জন্য তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া পরিবর্তন প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তপন দত্ত খুনের মামলায় ৩টি নির্দেশ দেন--
প্রথমত, যত দ্রুত সম্ভব সিআইডি-কে সমস্ত নথি, জবানবন্দি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেবে।
advertisement
দ্বিতীয়ত, পন দত্ত খুনের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে সিবিআই। ৬ মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি মুমতাজ খানের ডিভিশন বেঞ্চের দেখানো পথে হবে বিচারপ্রক্রিয়া
তৃতীয়ত, বিচার প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিবিআই তপন দত্ত খুনের তদন্তও করতে পারবে।
৬ মে ২০১১ খুন হন বালির সমাজকর্মী তপন দত্ত। তদন্ত ভার যায় CID-র হাতে। সিআইডি তদন্তে মূল অভিযুক্ত দেখানো হয় ৫ জনকে, তারা হলেন ষষ্ঠী গায়েন, অশিস গায়েন, শ্বেতী বাপি, রমেশ মাহাতো, সুভাষ ভৌমিক।অগাস্ট ২০১১-য় সিআইডি চার্জশিটে ১৬ জনকে অভিযুক্ত দেখানো হয়। মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম থাকে সিআইডি চার্জশিটে। সেপ্টেম্বর ২০১১-য় পরবতী CID চার্জশিটে রেহাই দেওয়া হয় মন্ত্রী অরূপ রায় কে। ডিসেম্বর ২০১৪-য় হাওড়া আদালত প্রমাণের অভাবে ৫ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে। ১০ এপ্রিল ২০১৭-য় বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি মুমতাজ খান, হাওড়া আদালতের রায় বাতিল করে দেয়। হাওড়া আদালতের রায়কে সম্পূর্ণ ত্রুটিযুক্ত বলে বাতিল করে। নিহতে স্ত্রী প্রতিমা দত্তের জবানবন্দি নিয়ে নতুন করে বিচারের কাজ করতে বলে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ হয় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ না করে ফের হাইকোর্টে ফিরিয়ে দেয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তপন দত্তর স্ত্রীর আবেদনের বিচার হবে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে। একবার খুনের মামলায় বিচার শেষ হওয়ার পর, সেই খুনের ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই, এমন নির্দেশ নজিরবিহীন হাইকোর্টের বিচার মানচিত্রে।