TRENDING:

Tangra Mystery Update: পায়েসে ঘুমের ওষুধ, দুই মহিলার হাতের শিরা কাটা, গলায় আঘাত! ট্যাংরা কাণ্ডে অনেক প্রশ্ন

Last Updated:

বাড়িরই তিন পুরুষ সদস্য প্রসূন দে, প্রণয় দে এবং তাদের সঙ্গে থাকা ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর এ দিন ভোরে ট্যাংরার ওই বাড়ি থেকে নিজেদের গাড়িতেই বেরিয়ে যান৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: ট্যাংরার ব্যবসায়ী পরিবারে দুই মহিলা এবং এক কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সামনে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন৷ পুলিশের কাছে মৃত দুই মহিলার মধ্যে একজনের স্বামী দাবি করেছেন, পায়েসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে প্রথমে খেয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁরা৷ ট্যাংরার অতুল গুহ রোডের ওই বাড়ির দোতলার তিনটি আলাদা আলাদা ঘর থেকে দুই মহিলা এবং এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়৷
ট্যাংরার ঘটনায় রহস্য৷
ট্যাংরার ঘটনায় রহস্য৷
advertisement

নিহত দুই মহিলার হাতের শিরা কাটা ছিল৷ আবার একজনের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতও ছিল বলে খবর৷ বাড়ি থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ মৃত নাবালিকার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না, তবে তার মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল৷

আরও পড়ুন: বাড়িতে তিন দেহ রেখে গাড়ি নিয়ে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা দুই ভাইয়ের! ট্যাংরা কাণ্ডে বাড়ছে রহস্য

advertisement

অন্যদিকে বাড়িরই তিন পুরুষ সদস্য প্রসূন দে, প্রণয় দে এবং তাদের সঙ্গে থাকা ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর এ দিন ভোরে ট্যাংরার ওই বাড়ি থেকে নিজেদের গাড়িতেই বেরিয়ে যান৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই রুবি মোড়ের কাছে অভিষিক্তার কাছে মেট্রো রেলের পিলারে সজোরে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি৷ ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই দুর্ঘটনা ঘটানো হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন গাড়িতে থাকা দুই ভাই প্রণয় এবং প্রসূন দে৷ ট্যাংরার বাড়িতে পরিবারের তিন মহিলা সদস্যের দেহ পড়ে রয়েছে, দুর্ঘটনার পর তাঁরাই পুলিশকে সেকথা জানান৷

advertisement

প্রণয় ও প্রসূন দে-র দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি৷

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই দুই ভাইয়ের অবস্থা স্থিতিশীলই রয়েছে বলে খবর৷ গাড়িতে থাকা কিশোরের আঘাতও গুরুতর নয়৷ আপাতত ওই দুই ভাইয়ের বয়ান সংগ্রহ করছে পুলিশ৷ যদিও আহত কিশোর অত্যন্ত আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে৷ কোনও কথাই বলতে চাইছে না সে৷

advertisement

জানা গিয়েছে, মৃত তিনজনের মধ্যে রয়েছেন সুদেষ্ণা দে৷ তিনি আহত প্রণয় দে-র স্ত্রী৷ দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রণয়ই বড়৷ প্রণয়ের সঙ্গে তাঁর ১৪ বছর বয়সি ছেলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে৷

প্রণয়ের ছোটভাই প্রসূনের স্ত্রী রোমি দে এবং তাঁর নাবালিকা কন্যার দেহও উদ্ধার করা হয়েছে ট্যাংরার বাড়ি থেকে৷ প্রসূন নিজেও আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন৷

advertisement

তবে এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, চারতলার তিনটি আলাদা আলাদা ঘর থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার হয়৷ অথচ এক তলার ঘরেও মিলেছে রক্তের দাগ৷ ঘুুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খেয়ে মৃত দুই মহিলা নিজেরাই নিজেদের হাতের শিরা কেটেছিলেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে৷ আবার হাতের শিরা কাটলেও কীভাবে একজনের গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত এল, সেই প্রশ্নও উঠছে৷

পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত আহত দুই ভাইয়ের বয়ান নেওয়া হয়েছে৷ যদিও সেই বয়ানের সত্যতা যাচাইয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত৷ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্টরা, নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ কুকুরও৷ পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও৷ পাশাপাশি, মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষাতেও রয়েছে পুলিশ৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

পুলিশের কাছে আহত দুই ভাই দাবি করেছেন, আর্থিক সমস্যার কারণেই গোটা পরিবার নিজেদের শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ ওই পরিবার চামড়ার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত৷ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তাঁরা৷ ফলে দেনার দায়েই এত বড় ঘটনা, না কি এর পিছনে অন্য রহস্য আছে, তা স্পষ্ট নয়৷ ওই পরিবার আর্থিক সমস্যায় রয়েছে, তা কোনও আঁচ পাননি পাড়া প্রতিবেশীরাও৷ এলাকায় মিশুকে এবং ভদ্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন দে পরিবারের সদস্যরা৷ অভিজাত পরিবারের এমন পরিণতি হতে পারে, কল্পনাও করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা৷

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Tangra Mystery Update: পায়েসে ঘুমের ওষুধ, দুই মহিলার হাতের শিরা কাটা, গলায় আঘাত! ট্যাংরা কাণ্ডে অনেক প্রশ্ন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল