নাবালক বলে, “আমিও পায়েস খেয়েছিলাম। কিন্তু যোগা এবং জিম করার জন্য পায়েসে মেশানো ঘুমের ওষুধ খেয়ে কিছুই হয়নি আমার। মরার ভান করে শ্বাস আটকে মৃতের অভিনয় করেছি। এরপর কাকা বালিশ চাপা দিয়ে আমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেছিল, আমি বেশ কিছুক্ষণ শ্বাস আটকে রেখেছিলাম। এরপর কাকা এবং বাবা ছাদে আত্মহত্যা করতে চলে যায়। আমি কোনওমতে উঠে দোতলায় গিয়ে দেখি মা, কাকিমা এবং বোন অলরেডি মারা গিয়েছে। মা, কাকিমা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু লাভ হয়নি।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ আপ-ডাউন লাইনে ছিঁড়েছে ওভারহেডের তার, ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরপর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ট্রেন, চূড়ান্ত ভোগান্তি
শিশু কমিশনের সদস্যদের ওই নাবালক আরও জানায়, ‘বাবা ঘটনার দু’দিন আগে বলেছিল এবার পাওনাদাররা ধাওয়া করবে। মৃত্যু ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই। আমাকে সেদিন আলোচনার সময় ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়।’ সে আরও বলে, ‘আমি সেদিন ঘরে থাকলে অন্য কোনওভাবে রোজগারের উপায় নিয়ে পরামর্শ দিতে পারতাম। কিন্তু সুযোগই পেলাম না। বাবা, কাকার ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি হয়েছিল।’
আরও পড়ুনঃ লক্ষ লক্ষ যাত্রীদের জন্য সুখবর! ২০২৫-এর মধ্যেই রেলের দিচ্ছে ‘বিরাট’ উপহার, জানুন আপনিও
এদিকে, শিশু সুরক্ষা কমিশন নাবালককে হোমে পাঠাতে চাইছে না। তারা দে পরিবারের কোনও আত্মীয়ের কাছেই তাকে রাখতে চাইছে। প্রসূনের শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে নাবালককে রাখতে চায় কমিশন। আজই এই তাঁদের সঙ্গে কমিশনের সদস্যরা কথা বলবে। সরকারি স্কিমে নাবালক থেকে ছেলের সাবালক হওয়া পর্যন্ত মাসে মাসে মাসোহারা পাবেন তাঁরা। যদি তারা নিতে রাজি না হন ওই নাবালককে, সেক্ষেত্রে একটি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যারা এই নাবালকের ভরণপোষণে রাজি, জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ার পার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।