ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, সম্ভবত মঙ্গলবারই ট্যাংরার বাড়িতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷ অথচ ওই দিনই ট্যাংরার দে বাড়িতে এসেছিলেন বেশ কয়েকজন পাওনাদার৷ তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পাওনাদারদের মঙ্গলবার বাড়িতে আসার কথা জানিয়েছিলেন প্রণয় এবং প্রসূনই৷ এখানেই প্রশ্ন উঠছে, আগে থেকেই যদি নিজেদের পরিবারের সদস্যদর শেষ করে আত্মঘাতী হওয়ার পরিকল্পনা থাকত প্রণয়ে এবং প্রসূনের, তাহলে মঙ্গলবার কেন পাওনাদারদের বাড়িতে ডাকলেন তাঁরা?
advertisement
আরও পড়ুন: ‘কুড়ি পেটি পাঠান, না হলে ঠুকে দেবো!’ মালদহের তৃণমূলনেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণকে হুমকি ডি কোম্পানির
তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন, ১৭ তারিখ রাতেই পায়েসের সঙ্গে মিশিয়ে ঘুমের ওষুধ খান পরিবারের প্রত্যেকে৷ সম্ভবত ১৮ তারিখ সকাল অথবা দুপুরের মধ্যেই পরিবারের সবার মৃত্যু হবে বলে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন দুই ভাই৷ সেক্ষেত্রে বাড়িতে পাওনাদাররা এলেও কিছু যাবে আসবে না৷
আরও একটি সম্ভাবনার কথাও এক্ষেত্রে তদন্তকারীদের মনে উঠে আসছে৷ ১৮ তারিখ পাওনাদাররা আসার আগেই হয়তো ১৪ বছরের কিশোরকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল প্রণয় এবং প্রসূনের৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি৷ ফলে বাড়িতে থাকলেও পাওনাদাররা বার বার ডাকার পরেও কোনও সাড়াশব্দ করেননি দুই ভাই৷ ততক্ষণে হয়তো তাঁদের দুই স্ত্রী এবং প্রসূনের নাবালিকা কন্যারও মৃত্যু হয়েছে৷
ট্যাংরার নৃশংস কাণ্ডের পরতে পরতে এখনও অনেক রহস্য রয়েছে৷ আজই হয়তো হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ড থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে দেওয়া হবে৷ তার পরেই দুই ভাইকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে রহস্যের জট খুলতে চান তদন্তকারীরা৷ কথা বলা হবে হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রণয়ের ছেলের সঙ্গেও৷
এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে খুন করার স্বীকার করেছেন ছোট ভাই প্রসূন দে৷ যদিও এর বাইরেও দুই ভাই অনেক তথ্য আড়াল করছেন বলেই মত তদন্তকারীদের৷