রবিবার সকালেই ট্যাংরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। একাধিক বার তিনি কথা বলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বোসের সঙ্গে। কথা হয় কলকাতা পুলিশ ও দমকলের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গেও। সূত্রের খবর, কী করে আগুন লাগল, কী কী সমস্যা হয়েছে, এই সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েল। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কী করে ট্যাংরায় আগুন লাগল?', দমকলমন্ত্রীর কাছে খোঁজ উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
শনিবার ট্যাংড়ায় মেহের আলি লেনে একটি গুদামে আগুন লাগে। স্থানীয়রা সেই গুদাম থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা ছিল মারাত্মক। ফলে লাভ হয়নি। খবর যায় দমকলে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। ট্যাংড়ার ওই এলাকা এমনিতেই ঘিঞ্জি। আগুন ছড়িয়ে পড়ে সহজেই।
আরও পড়ুন: লাইফলাইনে 'ক্ষয়' রোগ! বিপদ এড়াতে নতুন চাকা পাচ্ছে কলকাতা মেট্রো
ঘটনার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পরেও এখনও আগুন পুরোপুরি নেভানো যায়নি। বিধ্বংসী আগুনে সব ছারখার। ট্যাংরায় পুড়ে খাক গুদাম। গুদামের দেওয়ালে ফাটল। দমকল জানিয়েছে, গুদামের দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। দমকলের প্রথমিক অনুমান গুদামের ওয়েল্ডিং কাজ চলছিল, সেখান থেকে আগুনের ফুলকি ছিটকে বিপত্তি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে কারখানার বিপজ্জনক দেওয়াল ভেঙে ফেলা হবে। গতকাল সন্ধে ৬টা ১৫ নাগাদ ওয়াটারপ্রুফ কাপড়ের কারখানায় আগুন লাগে।
অমিত সরকার।