তিনটি ঘরে আলাদাভাবে তিনটি দেহ কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ঘরের বিবরণ-সহ বাড়ির ভিতরের ও বাইরের বিবরণ আজ আদালতের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। অন্যদিকে, দে পরিবারের জীবিত দুই ছেলে যারা সংশোধনাগার রয়েছেন তাঁরা সেখান থেকেই ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ফের এই পুলিশ কর্মী আদালতে দ্বিতীয় পর্যায়ে সাক্ষ্য দেবেন। প্রসঙ্গত, ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্যাংরার অতুল শূর রোডের দে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দুই মহিলা এবং এক কিশোরীর দেহ৷ প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছিলেন বাড়ির দুই ছেলে প্রণয় এবং প্রসূন দে৷ দে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রণয় দের স্ত্রী সুদেষ্ণা এবং প্রসূন দের স্ত্রী রোমি ও কন্যা প্রিয়ম্বদার দেহ৷ প্রণয়, প্রণয়ের ছেলে এবং প্রসূনকে ই এম বাইপাসের উপরে একটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ৷ তার পরই এই ঘটনা সামনে আসে৷ প্রাথমিক ভাবে প্রণয় এবং প্রসূন দের দাবি ছিল, তাঁরা সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ সেই জন্য পায়েসের সঙ্গে মিশিয়ে ঘুম এবং রক্তচাপের ওষুধ খান বাড়ির সবাই৷ তার পরেও মৃত্যু না হওয়ায় নিজেদের স্ত্রীর হাতের শিরা কেটে এবং ১২ বছরের কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন দুই ভাই৷
advertisement