লকডাউন পরিস্থিতিতে কমেছে বিমান ওঠানামার সংখ্যা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই শিয়াল ধরতে পরিকল্পনা করে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। চেন্নাই থেকে নিয়ে আসা হয় 'নারিকুরাভার'দের। দক্ষিণ ভারত থেকে আসা আদিবাসীদের এই বিশেষ দলকে বলা হয় 'শিয়াল মানুষ'। কারণ প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই সম্প্রদায় শিয়াল ধরার কাজ করে আসছেন। গত কয়েকমাস ধরেই পাইলটদের তরফে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে একাধিক এস ও এস পাঠানো হয়েছে। রানওয়েতে শিয়াল চলে আসার। তার বলছেন একসাথে প্রায় ১০-১২টি শিয়াল চলে আসছে। এভাবে শিয়ালের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ঘন ঘন রানওয়েতে চলে আসা চিন্তায় রাখে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকে৷ কারণ শিয়ালের সাথে ধাক্কা লাগলে দূর্ঘটনা ঘটবে। ক্ষতি হবে বিমান ও যাত্রী উভয়েরই। তাই তিন মাস আগেই শিয়াল মারার অনুমতি বন দফতরের কাছে চায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই প্রাণীটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ১৯৭২ অনুযায়ী সংরক্ষিত প্রাণী। তাই গুলি করে মারতে গেলে বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। যে অনুমতি কেন্দ্র-রাজ্য কেউই দেয়নি৷ তাই ডেকে পাঠানো হয় 'নারিকুরাভার'দের।
advertisement
তামিলনাড়ুর এই যাযাবর গোষ্ঠী শিয়াল ধরায় অভিজ্ঞ। ২২ জনের একটি দল আসে এখানে। তারাই ধরতে পেরেছেন প্রায় ৭টি শিয়ালকে। যাদের আপাতত পাঠানো হয়েছে বন দফতরের হেফাজতে। পাইলট অরিন্দম দত্ত জানিয়েছেন, 'এটা ভীষণ সমস্যার রানওয়েতে যেকোন পশু যদি চলে আসে। দূর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়।' বিমানবন্দর সূত্রের খবর, রাজারহাটের দিক থেকে ঢুকে পড়ে এই শিয়ালগুলো। লুকিয়ে থাকার দারুণ জায়গা শিয়ালদের। আপাতত ৭টি ধরা হয়েছে। তবে আরও বেশ কয়েকটি থাকতে পারে। আপাতত নজরদারি চালানো হচ্ছে। ফের দেখা মিললে আবার নেমে পড়বেন 'নারিকুরাভার' সম্প্রদায়।