আজ সকাল ১০ টা নাগাদ ব্রিজের বিশেষ পরিদর্শনে আসেন দফতরের পূর্ত দফতরের প্রধান সচিব। ব্রিজের মূল নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। চলছে রাস্তার অংশের ঢালাই এবং গার্ডওয়াল রং করার কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছামতো মহালয়ার আগেই ব্রিজ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করতে চায় রাজ্যের পূর্ত দফতর।
আরও পড়ুন: তড়িঘড়ি এল খাট, মধ্যরাতে নিজামে ঢুকতেই অনুব্রতকে ঘিরে একের পর এক চমক! 'যত্ন' করছে সিবিআই
advertisement
তবে তাড়াহুড়োতে নয়, বরং সমস্ত দিক থেকে সুরক্ষার বিষয়ে সুনিশ্চিত করেই ব্রিজ চালু করতে আগ্রহী রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে বারবার এই ধরনের পরিদর্শন করিয়ে তারপরেই ব্রিজ চালু করতে চান আধিকারিকরা। প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা হচ্ছে এই সেতু। আগের সেতুকে ভেঙে ফেলার পরে তৈরি ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই নতুন সেতুতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কারিগরিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে পুরনো টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল এই ব্রিজ। ফলে গত দু'বছর ঘুর পথে উত্তর কলকাতার মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত চাপ নিতে হচ্ছে কাশিপুর, বাগবাজার, টালার বিকল্প রাস্তাগুলিকে৷ তবে এই ব্রিজ চালু হয়ে গেলে সেই সমস্যার সমাধান হবে শহরবাসীর জন্য।
৭৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুর দু' পাশেই এবার রাখা হচ্ছে সাধারণ মানুষের হাঁটার রাস্তা। আগের টালা ব্রিজ ছিল ৩ লেনের। এবার সেই সেতু ৪ লেনের সেতু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। ভারবহন ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে চলেছে এই সেতুর। এই ব্রিজের আগে যেখানে ১৫০ টন ভারবহন ক্ষমতা ছিল সেখানে এখন নতুন ব্রিজের ভারবহন ক্ষমতা হচ্ছে ৩৫০ টন অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নতুন ব্রিজ উপহার পেতে চলেছে শহরবাসী।