কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এখন নারদ কাণ্ডে জেলে। তাই তাঁকে ছাড়াই পরিকল্পনা সাজাতে হচ্ছে পুরসভাকে। জানা গিয়েছে, বুধবার কলকাতা পুরসভায় আপৎকালীন বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। জল সরবরাহ, আলো, উদ্যান, নিকাশি, মূলত এই বিভাগগুলি নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
ঘূর্ণিঝড়ের যশের কথা মাথায় রেখে আগামীকাল থেকেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আপাতত সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা কর্মীদের রাখা হবে। মোট ৭৪টি পাম্পিং স্টেশন ঘিরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। পুরসভার ১৬০ জন শ্রমিককে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার ডিউটি রোস্টার বানানো হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হলে তাঁরা রাস্তায় নেমে জল নামানোর কাজে হাত লাগাবেন।
গতবার আমফানের সময় গোটা কলকাতা রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল ঝড়ে পড়ে থাকা গাছের কারণে। দীর্ঘদিন সময় লেগেছিল সেই গাছ সরাতে। এবার তাই আগাম প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে উদ্যান বিভাগকে। মূলত, গাছ কাটা এবং গাছ সরানোর জন্য দু’টি টিম থাকে। সেই সঙ্গে প্রতিটি বরোয় থাকবে একটি করে গ্যাং। একেকটি গ্যাংয়ে সাধারণত ছ’জন করে থাকবে। থাকছে দু’টি ক্রেন ও ২২টি হাইড্রোলিক ল্যাডার।
এমনকী সংশ্লিষ্ট দফতরকে শুকনো খাবার ছাড়াও ত্রিপল, বিপর্যয় মোকাবিলার সরঞ্জাম, জামাকাপড় ইত্যাদি যথেষ্ট পরিমাণে মজুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সব স্তরে মাইক প্রচার করে মানুষকে সতর্ক করতে হবে।