১১ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনা দিয়ে শুরু হয়েছে এই সিনার্জি। এই জেলায় মূলত টেক্সটাইল ও কৃষি ভিত্তিক শিল্পের দিকে বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর হাওড়ার সিনার্জিতে ইঞ্জিনিয়ারিং, হোসিয়ারি, জুয়েলারি সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর হুগলির সিনার্জিতে প্রাধান্য পাবে কৃষিভিত্তিক শিল্প, সিল্ক প্রিন্টিং। নদীয়া ও পূর্ব বর্ধমানকে নিয়ে একসঙ্গে কৃষ্ণনগরে ২৮ ডিসেম্বর এবং পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াকে নিয়ে ২২ ডিসেম্বর দুর্গাপুরে সিনার্জি হবে। দুর্গাপুরে লোহা, স্টিল, সিমেন্ট, ফ্লাই অ্যাশের ইট, ইঞ্জিনিয়ারিং, পুরুলিয়ার লাক্ষা শিল্পের উপর জোর দেওয়া হবে। কৃষ্ণনগরের সিনার্জিতে গুরুত্ব পাবে টেক্সটাইল, কৃষি ভিত্তিক শিল্প ও পর্যটন শিল্প ইত্যাদি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কলকাতার ১০ দিগন্ত'-তে তৃণমূল, তিলোত্তমা ভোল পাল্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
বীরভূম ও মুর্শিদাবাদকে নিয়ে সিনার্জি বসবে ২০ জানুয়ারি। সেখানে কৃষি ভিত্তিক শিল্প ও পর্যটনের দিকে বেশি জোর দেওয়া হবে। ২৮ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সঙ্গে কলকাতাকে জুড়ে দিয়ে একটাই সিনার্জি হবে। তাতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সার্জিক্যাল সামগ্রী, আগরবাতি, চামড়া ও পোশাক শিল্পের উপরে জোর দেওয়া হবে। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলাকে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে যে সিনার্জি হবে, তাতে ইঞ্জিনিয়ারিং, পোলট্রি ফার্ম, কৃষি ভিত্তিক শিল্প, শালপাতা কিংবা জঙ্গলের সামগ্রী ভিত্তিক শিল্পের দিকে নজর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: BJP জিতলে কলকাতার মেয়র কে? শুভেন্দু অধিকারীর 'বর্ণনা' নিয়ে জারি ধন্দ
এছাড়াও জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সিনার্জিতে উলের সোয়েটার, পর্যটনে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ১০ ফেব্রুয়ারী পালন করা হবে জলপাইগুড়ি শহরে। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় সিনার্জি হবে ১১ তারিখ। শিল্প দফতরের আধিকারিকদের মতে এইসব সিনার্জির মাধ্যমে শিল্পের জন্য কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তা চটপট সমাধান করে ফেলতে পারা যাবে৷ বিশেষ করে জমি জট বা পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র পেতে সুবিধা হবে। ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে রাজ্যে বসতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগেই সারা রাজ্য জুড়ে এই ধরণের শিল্প বিষয়ক সিনার্জির মাধ্যমে শিল্পপতিদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।