শুধু তাই নয়, বিশ্বমানের এক পর্যটনকে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা হবে হুগলি নদীকে কেন্দ্র করে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার থেকে মিলেছে ছাড়পত্র। আইআইটি খড়্গপুরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই সাজিয়ে তোলা হবে নদী তীরবর্তী একাধিক এলাকা। পরবর্তীতে আরও নিত্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে চলেছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পোর্ট।
পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে কলকাতা বন্দর পরবর্তী নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর ইতিমধ্যেই আইআইটি খড়্গপুরের সহযোগিতায় একটি বিশেষ মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছে। মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত একটি পর্যটন সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন বলেন, বারাণসী এবং আসামের মত নদী ক্রুজের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষও একটি টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনা করছে। নদীতে ক্রুজ শুরু করার জন্য একটি বিশ্বমানের নদী ক্রুজ টার্মিনাল প্রয়োজন। আমরা ভারতের অভ্যন্তরীণ জলপথ কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বাংলায় একটি টার্মিনাল তৈরি করছি। শীঘ্রই একটি টেন্ডার আহ্বান করা হবে।”
advertisement
প্রসঙ্গত, একদিকে কলকাতা অন্যদিকে হাওড়া জেলা। বয়ে গিয়েছে গঙ্গা নদী। এই নদীর উপর রয়েছে হাওড়া ব্রিজ। এবার এই নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে পর্যটনের নতুন দিগন্ত। জানা গিয়েছে, কলকাতা নদীর তীরে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরের ৩৫৭ একর এবং হাওড়ার পাশে ২৯০ একর জমি রয়েছে, যা নদী তীর মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় তৈরি করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরের পক্ষ থেকে আইআইটি খড়্গপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং শীঘ্রই একটি মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, জোড়াবাগানে এক কিলোমিটার দীর্ঘ অংশ তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই একটি টেন্ডার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এই মাস্টার প্যানের আওতাভুক্ত হাওড়া ব্রিজকে নতুনভাবে আলোর মধ্য দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। এখানেই শেষ নয়, আগামীতে প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে হুগলির মিলেনিয়াম পার্ক তিন একর এবং আর্মেনিয়ান ঘাটের চার একর এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন এবং একটি নতুন অত্যাধুনিক জাদুঘর। সিএসআর উদ্যোগের আওতায় কর্পোরেট সংস্থাগুলি প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি ঘাট পুনর্নির্মাণ করবে।
আরও পড়ুন- ফের ভাসবে কলকাতা, সোম রাত থেকেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস! দেখুন ওয়েদার আপডেট