আদতে নৈহাটির বাসিন্দা শ্বেতা চক্রবর্তী কামারহাটি পুরসভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন৷ তিনি আবার পেশায় মডেলও৷ অয়নের সৌজন্যে একটি বাংলা ছবিতে অভিনয়ও করেন শ্বেতা৷ যদিও অয়ন শীলের বিনিয়োগে তৈরি হওয়া সেই ছবিটি মুক্তি পায়নি৷
আরও পড়ুন: 'ED রেড করতে পারে', একদিন আগেই অয়ন শীলকে সতর্ক করেছিল বান্ধবী শ্বেতা, কিন্তু জানল কী ভাবে? চ্যাট হিস্ট্রি দেখে তাজ্জব গোয়েন্দারা
advertisement
নৈহাটির বাড়ি ছেড়ে রথতলার কাছে একটি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন শ্বেতা চক্রবর্তী৷ সেখানে মাঝেমধ্যেই যেতেন অয়নও৷ এমনিতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শ্বেতা খুব একটা কথা বলতেন না৷ কিন্তু অয়নকে নিজের মামা বলেই প্রতিবেশীদের কাছে পরিচয় দিয়েছিলেন শ্বেতা৷ ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শ্বেতা আর আবাসনে আসছেন না৷
আরও পড়ুন: পেশায় মডেল, আবার কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার! ইডি নজরে অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা
সূত্রের খবর, হুগলির জিরাটের একটি পঞ্চায়েত অফিসে কাজ করতেন শ্বেতা৷ সেখান থেকে তিনি ট্রান্সফার নিয়ে চলে আসেন বলাগড়ের নিত্যানন্দপুর পঞ্চায়েতে৷ আগে থেকেই সেখানে কাজ করতেন অয়ন৷ ওই পঞ্চায়েতের কর্মীরা জানাচ্ছেন, মাঝেমধ্যেই একসঙ্গে বাড়ি ফিরতেন অয়ন-শ্বেতা৷ এর পর ধীরে ধীরে অয়নের প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে৷
২০১৬ সালে কামারহাটি পুরসভায় সহকারী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন শ্বেতা৷ তাঁর এই চাকরিও অয়নের সৌজন্যে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে৷ অয়নের সঙ্গে মেয়ের যোগাযোগের কথা শ্বেতার বাবাও স্বীকার করেছেন৷ ইডি-র দাবি, সল্টলেকে অয়নের অফিস থেকে শ্বেতার সম্পত্তির নথি, গাড়ির কাগজপত্র, ব্যাঙ্কের নথি পেয়েছেন তাঁরা৷ শ্বেতার বিপুল সম্পত্তিও এখন ইডি-র নজরে রয়েছে৷