শুভেন্দুকে উত্তরীয় পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি নাম না করে দিলীপ ঘোষকে মর্নিং ওয়াক নিয়ে শুভেন্দুর নিশানা এবং পাল্টা দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুভেন্দু-দিলীপ সংঘাত নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। যদিও বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারীর জন্মদিনে সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্য পদ্ম শিবিরের নেতারা শুভেন্দুকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক শুভেচ্ছা বার্তা দেন।
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর ছবি-সহ দিলীপ ঘোষকেও ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়। এদিনই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ছাড়া কোনও দিন আজ পর্যন্ত দলের কারও বিরুদ্ধে কথা বলিনি। পাল্টা মন্তব্য করিনি। আগামী দিনেও করব না। আমি খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ সাধারণ জীবন যাপন করি। দিলীপ ঘোষ আমাদের নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই আমি বিজেপিতে যোগদান করি। দিলীপ দা আমাকে নন্দীগ্রামে জেতানোর ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন।’’
যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দিলীপ- শুভেন্দুর সাম্প্রতিক মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছিল। আর যেহেতু বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারীর জন্মদিনে কেন্দ্রীয় নেতা বি এল সন্তোষ-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কলকাতায় হাজির ছিলেন তাই তাঁদের উপস্থিতিতে দিলীপ- শুভেন্দু- সুকান্তকে পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে একসঙ্গে বসিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর জন্মদিনে মিষ্টিমুখ ও উত্তরীয় পরিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে দিলীপ- শুভেন্দু- সুকান্তর মধ্যে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে বন্ধন অটুট রাখতেই উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর জন্য এদিন গেরুয়া উত্তরীয় কেনেন দিলীপ। সেটি পরিয়েই শুভেন্দুকে এদিন জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান দিলীপ ঘোষ। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বললেন, ‘‘আমাদের কারোর সঙ্গেই কোনও দ্বন্দ্ব নেই। এগুলো মিডিয়ার অপপ্রচার। আমরা সবাই এক রাজনৈতিক দলের কর্মী। তাই দ্বন্দ্বের কোনও প্রশ্নই নেই ৷’’