প্রসঙ্গত, শুক্রবার, একদিন আগেই সংবিধান দিবস স্মরণ রাজ্য বিধানসভায়। ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস। নির্ধারিত দিনের আগে উদযাপনকে ঘিরে সমালোচনায় বিরোধীরা। তারই মধ্যে বিধানসভার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী স্মারক ভবনের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের বিধানসভা অধিবেশন শাসক বিরোধীদের আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে সরগরম হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন - ENG vs USA: হতশ্রী ইংল্যান্ড, মার্কিনদের বিরুদ্ধে গোলমুখই খুলতে পারল না সাউথগেটের ছেলেরা
advertisement
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার চমকপ্রদ ঘটনা ঘটল বিধানসভায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে নিজের ঘরে ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ অবশ্য ফিরিয়ে দেননি বিরোধী দলনেতা। তবে, তিনি একাও যাননি। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা এবং আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন - Hair Care Tips: খুশকি, রুক্ষ চুলের একটাই সমাধান! ব্যবহার করুন এই বিশেষ হেয়ার মাস্ক!
সেখানে দু'তরফে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। এরপর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় হয়েছে।'' যদিও এদিন বিধানসভায় নিজের বক্তব্যে একাধিক বিষয়ে শুভেন্দুর দিকে ইঙ্গিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ''আপনি এক সময় কংগ্রেসে, তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। অখিল গিরি দলের জন্মের সময় ছিলেন। আপনার বাবা সিনিয়র নেতা। তাকে সম্মান করি।'' নাম না নিলেও রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় ছিলেন শুভেন্দুই। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''যাকে ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম। তিনি বললেন সরকার অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি, ফর দ্য পার্টি হয়ে গেছে।'' বঙ্গ রাজনীতি থেকে ক্রমশ অবলুপ্তি ঘটছে সৌজন্যের৷ পারস্পরিক কুৎসা, ব্যক্তি আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার সীমাও ছাড়িয়ে যান ছোট, বড় নেতারা৷
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বিরোধী দলনেতার আগমণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে যে সৌজন্যের নতুন আলো দেখালো তা বলাই যায়৷ কারণ গত দু' বছরে প্রকাশ্যে দু' জন দু' জনকে প্রকাশ্যে যতই আক্রমণ করুন না কেন, এ দিন মুখোমুখি সাক্ষাতে পরস্পরের প্রতি সৌজন্য এবং সম্মানের কোনও ঘাটতি ছিল না মমতা- শুভেন্দুর বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
VENKATESWAR LAHIRI